রাঙ্গুনিয়ায় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে দুটি খননযন্ত্র

32

রাঙ্গুনিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধভাবে বালু তোলার দায়ে দুটি খননযন্ত্র পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে একটি খননযন্ত্র। নষ্ট করে দেয়া হয়েছে বালু তোলার অন্যান্য সরঞ্জামাদি। তবে ওই সময় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার হোছনাবাদ ইউনিয়নের নিচিন্তাপুর সিফুলিয়া খালে এই অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান। আদালতকে সহযোগিতা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) পূর্বিতা চাকমা, হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন ও থানার পুলিশ সদস্যরা।
ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি খননযন্ত্র পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়। অভিযানের সময় একটি খননযন্ত্র খাল থেকে সরিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির উঠানো রাখা হয়। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে পরে খননযন্ত্রটি জব্দ করে। তবে ওই সময় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন হোছনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেনের মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি এই সময় তার ইউনিয়নের নিচিন্তাপুর এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন বলেন, দুপুরে ইউএনও মাসুদুর রহমান তাকে মুঠোফোনে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতার জন্য পরিষদের লোকজন নিয়ে নিচিন্তাপুর এলাকায় যেতে বলেন। তিনি আদালতকে সহযোগিতার জন্য নিচিন্তাপুরের মূল সড়কে গাড়ি রেখে ভিতরে সিপুলিয়া খালের পাড়ে গেলে কে বা কারা তার মোটর সাইকেলের বাল্ব, গ্লাস ও বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলে। এলাকার অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা তার মোটর সাইকেল ভেঙেছে বলে তার দাবি। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাথে ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভাঙার বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।