রাঙ্গুনিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে দুর্বৃত্তের হামলা, আহত ৪

42

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি সদস্য ও দফাদার সহ ৪ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও ড. হাছান মাহমুদের ছবি’সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের তিনটি কম্পিউটার ও অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানা গেছে।
হামলায় আহতরা হলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হারুন মেম্বার (৪৫), সচিব আবু আহম্মেদ সাইয়েম চৌধুরী (৪০), দফাদার মো. মুবিন (৩৫) ও সেবা নিতে আসা সাবেক ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন (৪২)। তাদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. বাচা প্রকাশ বাগাইয়া (৩৫)। বাচা মরিয়মনগর পূর্ব সৈয়দবাড়ি এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র।
মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বিকালে রাম-দা ও বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ৪ থেকে ৫ জন লোক পরিষদের কার্যালয়ের সচিবের কক্ষে ঢুকেন। আমি তখন নিজ কক্ষে কাজ করছিলাম। তারা সচিব আবু আহম্মেদ চৌধুরী’র কক্ষ ভাঙচুর শুরু করে এবং সচিবকে মারধর করতে থাকে। এসময় ইউপি সদস্য হারুনকে পেয়ে তাকে পেছন থেকে রাম দা দিয়ে হামলা করে। পরে তিনি বাইরে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পান। এসময় কয়েকজন লোক তাদের দুইজনকে পিছনে ধাওয়া করলে আমি আওয়াজ শুনে সচিবের কক্ষে যায়। তারা পেছনে এসে আমাকে হামলা চালাতে আমার কক্ষে যায়। এসময় দফাদার মুবিন আমাকে বাঁচাতে সচিবের কক্ষে আমাকে তালাবদ্ধ করলে তারা তাকেও মারধর করে। তারা আমার কক্ষের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমপি’র ছবি সহ আমার নিজ কক্ষের আসবাপত্র ভাঙচুর করে। পরে আমাকে খুঁজতে গিয়ে পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের কক্ষে গিয়ে তিনটি কম্পিউটার ভাঙচুর করে। পরিষদে হামলার খবরে এলাকার মানুষ এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতেই কারো ইন্ধনে এই হামলা চালাতে পারে বলে ধারণা করছি।
রাঙ্গুনিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) মাহবুব হোসেন বলেন, এই বিষয়ে তদন্তে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হামলার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হামলায় জড়িত অন্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে হামলার মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।
উল্লেখ্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর ৮ বছর পর এই ইউনিয়নের নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে।