রাঙামাটিতে ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ

32

চার জেলার ১৪টি বিদ্যালয়ে গিয়ে ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অনুপস্থিত পাওয়ার কথা জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার ঢাকা, রাঙামাটি, দিনাজপুর ও ফরিদপুরের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদক কর্মকর্তারা অভিযান চালান বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা যথাসময়ে উপস্থিত হন না এবং বিভিন্ন খাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে ‘বেআইনিভাবে অর্থ আদায়ের’ অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। খবর বিডিনিউজের
অভিযানে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কাঞ্চনডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গরীবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহিমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিন্নাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নবাবগঞ্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
অপরদিকে ফরিদপুর সদরের চারটি বিদ্যালয়ে অভিযানে যায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের একটি দল। এ জেলার সদর এলাকার টিম টেপাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে স্কুলে অনুপস্থিত পায় দুদক, তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রনব।
এদিকে ফরিদপুরের বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং হালিমা গার্লস স্কুল ও কলেজে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দুদকের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাঙামাটির রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের থেকে দুই হাজার টাকা গ্রহণ ও কোচিং করতে বাধ্য করার প্রমাণ পেয়েছে। এসব অর্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ফেরত দিতে দুদক কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে গত সোমবার রাজধানীর মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে অর্থগ্রহণের কারণে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার ওই প্রধান শিক্ষক দুদক দলকে মুচলেকা দিয়ে অবিলম্বে সব টাকা দুদক টিমের উপস্থিতিতে অভিভাবকদের ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলা দূর করতে দুদকের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সাথে জনসাধারণকেও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানে নামতে হবে।”