রাঙামাটিতে এবার পাসের চেয়ে ফেল বেশি

45

এবার রাঙামাটিতে এইচএসসির ফলাফলে দেখা গেছে পাসের চেয়ে ফেল বেশি। এই অঞ্চলে এবার পাসের সংখ্যা ৪৫ দশমিক ১২ শতাংশ। গতবারের চেয়ে এবছর ফলাফল অনেকটা খারাপ হয়েছে। পুরো জেলায় ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থী। জিপি এ- ৫ পেয়েছে রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে ৫ জন ও রাঙামাটি লেকার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৩ জন। গতবার পাসের হার ছিল ৪৯ দশমিক ২২ শতাংশ।
জেলার ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫ হাজার ৩৫০ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ১৪ জন। ফেল করেছে ২ হাজার ৯৩৬ জন। পাসের চেয়ে ফেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন। রাঙামাটিতে দিন দিন লেখাপড়ার মান নিশ্চিতে ব্যর্থ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের। তাদের মতে, রাঙামাটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-কলেজে পড়ালেখার মান ভালো হচ্ছে না। শিক্ষকরা সারা দিন থাকে কোচিং ব্যবসা নিয়ে। বিশেষ করে রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙামাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙামাটি সরকারি কলেজ, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিয়মিত হয় না। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও।
ফলাফল বিপর্যয়ের ব্যাপারে রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মইন উদ্দিন বলেন, যে সব শিক্ষার্থী দুর্বল ও কয়েকবার এসএসসিতে ঝড়ে পড়ে পাস করার পর এসে এ কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে। দেখা গেছে তারাই ফলাফল বেশি খারাপ করেছে। অন্য দিকে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় ও ভকেশনাল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নার্সিং করে তোলা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। যার জন্য তারা ফেল করে বেশি।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক খন্দকার বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের বেসিক অত্যন্ত দুর্বল। এধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি; যার কারণে ফেল বেশি করেছে। অন্যদিকে মহিলা কলেজে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষকের ব্যাপারে অনেক বার লেখালেখি করেছি।