মুজিববর্ষে চসিকের বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন

51

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ধারাবাহিকভাবে এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটিয়ে এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাফ্ফর আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকীসহ জেলা প্রশাসন ও চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। তারা পরিচ্ছন্ন শহর ও নির্মল সকাল কামনা করেন। এই ধরনের একটি শহর বিনির্মাণে নগরবাসীকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নগরবাসীর অংশগ্রহণ, সচেতনতা ছাড়া পরিচ্ছন্ন নগর গড়া চসিকের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের গৃহস্থালি ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য চসিক কর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, নগর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য ২ হাজার ডোর-টু-ডোর সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গৃহস্থালি ময়লা রাখার জন্য নগরবাসীর মধ্যে ৯ লাখ বিন দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞাপন, মাইকিংসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছে। একসময় নগরের প্রধান সড়কসহ অলিগলি ও উপ-গলিতে সাড়ে ১৩শ’ ডাস্টবিন ছিল। বর্তমানে অর্ধেকের বেশি ডাস্টবিন অপসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে ডাস্টবিনমুক্ত নগর ও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে চসিক। তাই এ শহরকে শতভাগ পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে নগরবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। খবর বাংলানিউজের
মুজিববর্ষে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম,পরিচ্ছন্ন শহর’ গড়ায় চসিকের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের সুবিধার্থে নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগ করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ওয়ার্ডের রাস্তা, ফুটপাত, গলি, উপ-গলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার এবং মশা নিধন কেমিক্যাল স্প্রে করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে। সপ্তাহ শেষে পুনরায় একই স্থান থেকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করা, নগরীর বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে প্রতি মাসে দুইবার বিশেষ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বাড়ানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে বিশেষ কর্মশালা আয়োজনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া চসিক পরিচালিত কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ কর্মযজ্ঞ এক দিনের জন্য নয়। এটা পরিচালিত হবে বছরব্যাপী। কারণ ১৭ মার্চ থেকে মুজিববর্ষ শুরু হচ্ছে। ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে চসিকের কর্মসূচি। সামর্থ্যরে মধ্যে বছরব্যাপী এ পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে চসিক। পরিচ্ছন্ন কাজে জনবল থাকলেও মশার উপদ্রব প্রতিরোধে ওষুধ ক্রয়ের সামর্থ্য নেই চসিকের। নগরে মশার প্রজনন ধ্বংসের জন্য এডালটিসাইড ও লার্ভিসাইড ওষুধ কিনতে ২০ কোটি টাকা আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।