ভারত সীমান্ত দিয়েও দেশে ইয়াবা ঢুকছে

103

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে বর্তমানে কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে দেশে ইয়াবার চালান আসার পরিমাণ কমেছে। তবে ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভিন্নপথে ভারত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট ও দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়েও বাংলাদেশে ঢুকছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর ছোটপুল পুলিশ লাইন্সের কনফারেন্স হলে রেঞ্জের মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে এই তথ্য দিয়ে ডিআইজি সেসব জেলার পুলিশ সুপারদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। সভায় জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ রেঞ্জের আওতাধীন ১১ জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি ফারুক এসপিদের উদ্দেশে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাই যে যুদ্ধ করছেন, তার কিছুটা সুফল এসেছে। সবাই জানেন, শুধুমাত্র কক্সবাজার-টেকনাফ-উখিয়া সীমান্ত দিয়েই মিয়ানমারে উৎপাদিত ইয়াবার চালান দেশে আসত। সেখানে পুলিশের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা বছরখানেক ধরে চলছে, তার প্রভাবে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা এখন আর তেমনভাবে আসছে না। বরং ইয়াবা এখন অন্যান্য সীমান্তে ছড়িয়ে গেছে। ডিআইজি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে, ইয়াবা এখন ভারত হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর জেলার সীমান্তপথ দিয়ে ঢুকছে। ইয়াবা এখন মিয়ানমার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।
ক্রাইম কনফারেন্সে সাম্প্রতিক সময়ে কথিত ‘ছেলেধরা’সহ নানা গুজব প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, গুজব প্রতিরোধে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। সদর দপ্তরের নির্দেশ পাওয়ামাত্রই তিনদিনের চেষ্টায় সারাদেশে গুজব রটনাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা প্রতিরোধ করা হয়েছে। এখন আর সেই গুজব নেই।
ক্রাইম কনফারেন্সে গত জুলাই মাসে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, পরোয়ানা তামিল, আলোচিত মামলার রহস্য উদঘাটন, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সাফল্যের জন্য জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনাসহ ১৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিআইজি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের টেকনাফে গত প্রায় একবছরে পুলিশ-র‌্যাবে-বিজিবির সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত শ’খানেক ব্যক্তি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ইয়াবা পাচারকারী অথবা ব্যবসায়ী বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। মিয়ানমারে উৎপাদিত মরণনেশা ইয়াবা দেশে আনার জন্য দুই দেশে সক্রিয় মাদক চোরাকারবারিরা কক্সবাজারের জল ও স্থলপথে টেকনাফ-উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পথকে মূল রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য।