বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের দাম, সবজি স্বাভাবিক

114

মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার কারণে নগরীর বিভিন্ন বাজারে বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের দাম। বাজারে ভারতীয় নতুন আলু যুক্ত হলেও অন্যান্য সবজির দাম আগের মতই রয়েছে। সোনালী মুরগিতে বেড়েছে ৩৫ টাকা প্রতিকেজিতে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, বাজারে শীতকালীন সবজি ঢুকলেই নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দাম কমে আসবে।
মাংস ও ডিমের বাজারেও পরিবর্তন নেই, দাম পূর্বের মত বহাল রয়েছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের চকবাজার, কাজীর দেউড়ী বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন করে বাজারে যুক্ত হয়েছে নতুন ভারতীয় আলু যার দাম কেজিপ্রতি ১২০ টাকা। পটল, শসা, কাকরোল, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ ও লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
কাঁচা সবজি দোকানি মো. জামাল উদ্দিন বলেন, কচুর লতি, চিচিঙ্গা, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কচুর ছড়া বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
মৌসুমের শেষ পর্যায়ে গত সপ্তাহ থেকে অপরিবর্তিত হয়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ফুলকপি প্রতি কেজি ১৩০ টাকায়, প্রতি কেজি বরবটি ৮০ টাকা এবং ঝিঙ্গা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টি কুমড়া আর ধুন্দল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। এদিকে বাজার ভেদে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা পেপে আর শসা প্রতি কেজিতে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কাজীর দেউড়ী বাজারে আসা আব্দুল হক বলেন, সবজির দাম আরও কমে যাওয়া দরকার। অন্যান্য বাজার থেকে কাজীর দেউড়ী বাজারে একটু দাম বেশি। তবে জিনিস ভাল পাওয়াতে এখানেই আসি।
প্রতি আঁটি লাল শাক ২০ টাকায়, মুলা শাক ২০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, পাট শাক ২০ টাকা, কচু শাক ২০ টাকা, মারিশ শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০, কচুর ফুল ৪০ টাকা, কলার মোচা ৪০, থানকুনি (২৫০ গ্রাম) ৩৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
প্রতি ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায়। আর হাঁসের ডিম ১৪০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকায়।
ডিম দোকানি মো. আবুল হোসেন বলেন, ডিমের দামের কোন পরিবর্তন নেই। আগের মতই রয়েছে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি লইট্টা গত সপ্তাহে ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে মাছ ব্যবসায়ী জাগির হোসেন বলেন, সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখাতে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না বলেই একটু দাম বেশি।
অন্যদিকে পোয়া ৪৫০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়, রূপচাঁন্দা ১৫০ টাকা কমে ৮৫০ টাকায়, দেশী রুই ২০ টাকা কমে ৩০০ টাকা, শিং ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন জানান, বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা (রানের) হাঁড়সহ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে খাসির মাংসও ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাংসের দাম আগের মতই রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। দেশি মুরগি বরাবরের মত প্রতি কেজি ৪০০ টাকায়। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ টাকা। তবে গত সপ্তাহে ছিলো ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন করে বাজারে ঢুকবে শীতকালীন সবজির দাম।
ভারতের আলুর ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের দেশেরও নতুন আলু কিছুদিনের মধ্যে চলে আসবে। তখন আর ভারত থেকে আলু আনতে হবে না।