বিশ্বে মানবজাতি কি টিকে থাকবে

58

ডোডো বা ডাইনোসর যেভাবে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেল, মানবজাতিও কী সেই পরিণতির দিকে যাচ্ছে? এই মূহুর্তে আমাদের সামনে অনেকগুলো হুমকি: জলবায়ুর পরিবর্তন, পরমাণু যুদ্ধ, মহামারী কিংবা মহাকাশ থেকে ছুটে আসা অ্যাস্টরয়েড বা গ্রহাণুর আঘাত। এর যে কোন একটিই পৃথিবী থেকে মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।
দার্শনিক ডেভিড এডমন্ডস এসব নিয়ে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে, যারা ঠিক এই প্রশ্নটিরই উত্তর খুঁজেছেন তাদের সারাজীবনের কাজ দিয়ে: এই শতাব্দীর পর পৃথিবীতে কি আর মানুষ টিকে থাকবে?
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের’ গবেষক অ্যান্ডার্স স্যান্ডবার্গ বলছেন, ‘এটি হচ্ছে এমন এক ধরনের ঝুঁকি, যা আসলে মানবজাতির জন্য হুমকি এবং যার কারণে পৃথিবীতে আমাদের কাহিনী শেষ হয়ে যেতে পারে এখানেই।’
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত আমাদের ধারণা ছিল আমরা খুব নিরাপদ এক গ্রহে বাস করি। কিন্তু এই ধারণা আর সত্য নয়। মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করছে এমন ঝুঁকি একটি নয়, অনেকগুলো। যেমন:
পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাত : মহাকাশ থেকে ছুটে আসা পাথরখন্ডের আঘাতে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে এমন আশংকা গত শতকের আশির দশকের আগ পর্যন্ত মোটেই আমলে নেয়া হতো না। কিন্তু ১৯৮০ সালে এই ধারণা পাল্টে দিলেন দুই বিজ্ঞানী। লুইজ আলভারেজ এবং তার ছেলে ওয়াল্টার আলভারেজ, তারা দুজনেই ছিলেন বিজ্ঞানী। এই দুজনের প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়, ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়েছিল মহাকাশ থেকে ছুটে আসা এক গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানার পর। তাদের এই গবেষণাটি এখন বিজ্ঞানীদের এক আন্তর্জাতিক প্যানেল স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশেষ করে মেক্সিকোর ইউকাটান পেনিনসুলায় বিরাট এলাকা জুড়ে এক বিশাল বিশাল গর্ত বা ক্রেটার আবিস্কৃত হওয়ার পর।
জলবায়ুর পরিবর্তন : গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবী ধ্বংস হবে, এমন আশংকা অবশ্য খুবই কম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে এর চেয়ে বেশি আশু বিপদ হিসেবে দেখছেন মানুষেরই তৈরি করা কিছু বিপদ: মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা, সম্পদের বিনাশ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন। জলবায়ুর পরিবর্তন যে আমাদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে, এটা এখন সবাই স্বীকার করেন। কিন্তু ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক কারিন কুহলেম্যান এর চেয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার দিকে। এটা এমন একটা বিষয়, যেটা আসলে শিরোণামে কমই জায়গা পায়। এর পাশাপাশি আরেকটি বিষয় হচ্ছে সম্পদের বিনাশ। এটি নিয়ে আমরা অপরাধবোধে ভুগি, তাই হয়তো এ নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।
কারিন কুহলেম্যান বলছেন, অন্য অনেক কিছুর মতো যা মানবজাতির কবর রচনা করতে পারে, তার মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন আর মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যার ব্যাপারটি পরস্পর সম্পর্কিত। যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি থামানো না যায়, তাহলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

জীববৈচিত্রের ধ্বংস : যেভাবে আমরা এই গ্রহে বাস করছি তা জীববৈচিত্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে, এই শতকের মাঝামাঝি নাগাদ সাগরে মাছ এতটাই কমে যাবে যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ ধরা আর লাভজনক হবে না। একই ঘটনা ঘটছে কীট-পতঙ্গের ক্ষেত্রে। নীরবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক ধরনের কীট-পতঙ্গ। এর পরিণামে অনেক প্রজাতির পাখিও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, কারণ এই কীট-পতঙ্গ খেয়েই তার বাঁচে। জীববৈচিত্র ধ্বংসের পরিণাম কী দাঁড়াবে তা আমরা এখনো পুরোপুরি জানিনা, বলছেন কারিন কুহলেম্যান। কিন্তু এটা আঁচ করা যায় যে, এর ফল খুব ভালো হবে না।
বিশ্বব্যাপী মহামারী : ললিথা সুন্দরম কাজ করেন কেমব্রিজের ‘সেন্টার ফর এক্সিসটেনশিয়াল রিস্কে’। মূলত জীবাণু বাহিত রোগব্যাধি মানবজাতির জন্য কী ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে, সেটা নিয়েই তারা গবেষণা করেন।
১৯১৮ সালে বিশ্বজুড়ে যে ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ এর মহামারী দেখা দিয়েছিল, তাতে নাকি গোটা বিশ্বের অর্ধেক মানুষ কোন না কোন সময় আক্রান্ত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এই স্প্যানিশ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় পাঁচ হতে দশ কোটি মানুষ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিপুল হারে যে অভিবাসন হয়েছিল সেটাকে এই মহামারীর অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। তখন মানুষ ভ্রমণ করতো ট্রেনে বা নৌপথে। আর এই বিশ্বায়নের যুগে কোন রোগ ছড়াতে পারে অতিদ্রæত, কারণ এখন মানুষ বিমানে দিনেই পাড়ি দিতে পারে কয়েকটি মহাদেশ। এখন হয়তো রোগ-ব্যাধির টিকা আবিস্কারে আমরা অনেক সফল। কিন্তু তারপরও এরকম বিশ্বব্যাপী মহামারীর ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
পরমাণু যুদ্ধ : একটা পরমাণু যুদ্ধ বেধে গেলে সেই যুদ্ধেই হয়তো পৃথিবীর সব মানুষ মারা যাবে না, কিন্তু এই যুদ্ধের পর যে বিকীরণ এবং প্রতিক্রিয়া হবে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে মানবজাতি। গ্লোবাল ক্যাটাসট্রফিক রিস্ক ইনস্টিটিউটর সেথ বম বলছেন, পরমাণু হামলায় জ্বলতে থাকা নগরী থেকে যে ছাই ছড়িয়ে পড়বে, তা আকাশে মেঘের স্তর পেরিয়ে স্ট্র্যাটোসফিয়ারে পৌঁছে যেতে পারে। কয়েক দশক ধরে হয়তো এই ছাই সেখানে থাকবে এবং তা সূর্যোলোক আটকে দিতে পারে। পরমাণু যুদ্ধের কারণে মানবজাতির বিলুপ্তি কয়েকটি ধাপে ঘটবে: যুদ্ধের প্রথম ধাক্কাতেই ব্যাপক প্রাণহানি, এরপর অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং পরবর্তীতে পরিবেশগত বিপর্যয়। বিশ্বজুড়ে কমছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন, বাড়ছে ভারত ও চীনে। গত কয়েক বছর ধরে পুরো বিশ্বে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের সংখ্যা কমেছে। ২০১৫ সাল থেকে এই হ্রাসের পরিমাণ ৮৪ শতাংশ। শুধু ২০১৮ সালেই এমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৩৯ শতাংশ। ‘গেøাবাল এনার্জি মনিটরের’ এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান আরও জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্মাণ সমাপ্ত হওয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংখ্যায় কমেছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু ব্যতিক্রম এশিয়া; বিশেষ করে ভারত ও চীন। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হ্রাস করা না গেলে কার্বন দূষণ ও বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না।
২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়ে একমত হয়েছিল। সেই সময় থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জোরদার করা তো দূরে থাক বরং পদক্ষেপগুলো নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ বেড়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির প্রভাবেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়। একদিকে যেমন দেখা যাচ্ছে দাবানল, অন্যদিকে তেমন দেখা দিচ্ছে হ্যারিকেন।
‘গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ রেকর্ড সংখ্যায় হ্রাস পেয়েছে। এতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তিন চতুর্থাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ব্যবস্থার তুলনায় বেশি খরুচে। আর্থিক বিচারেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের ব্যয় কমতে থাকার বিষয় ছাড়াও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হ্রাসের কারণ হিসেবে সামনে এসেছে বিশ্বজুড়ে শতাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কয়লা উৎপাদনকারীদের নিষিদ্ধ হওয়া এবং দূষণের লাগাম টেনে ধরতে নেওয়া রাজনৈতিক তৎপরতা। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা সিয়েরা ক্লাবের সদস্য নেহা ম্যাথিউ শাহ। তিনি ‘গ্লোবাল এনার্জি মনিটরের’ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটির গবেষকদের একজন। নেহার ভাষ্য, ‘বিশ্বজুড়ে কয়লার ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
কিন্তু আশাবাদী হতে পারছেন না সংস্থাটির আরেক গবেষক ক্রিস্টিন শিয়েরার। তার ভাষ্য, ‘বর্তমানে চালু থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অভাবিত দ্রুততার সঙ্গে বন্ধ করতে হবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণকে ২ ডিগ্রি সেলিয়াসে সীমিত রাখতে হলে।’ তার এ বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’র প্রতিবেদনে। গত মঙ্গলবার সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ২০১৮ সালে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ আরও বেড়েছে। এশিয়ায় নতুন করে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর অবদান এতে অনেক বেশি। বিশ্বের মোট কার্বন দূষণের এক তৃতীয়াংশের জন্যই দায়ী এশিয়ার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো।
বিশ্বজুড়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হ্রাস পেলেও ব্যতিক্রম চীন। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র থেকে জানা গেছে, সেখানে বন্ধ থাকা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু হয়েছে। গ্লোবাল এনার্জি মনিটর লিখেছে, ২০০৫ সালে বিশ্বে স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ৮৫ শতাংশই স্থাপন করেছে চীন ও ভারত। ‘চায়না ইলেক্ট্রিসিটি কাউন্সিল’ নতুন করে ২৯০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এটি তার চেয়েও বেশি।
পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিন পিস’র লরিয়া মিলিভিরতা মন্তব্য করেছে, চীন যদি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের দৌড়ে নামে তাহলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সীমিত রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে তার সমন্বয় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

বিশ্বসেরা ইয়েলেও
ভর্তি জালিয়াতি

ভর্তি জালিয়াতি, ডিজিটাল জালিয়াতি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পরিচিত অভিযোগ। আর এ সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে উদাহরণ টানা হয় বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পদ্ধতির। তবে এবার এসব রথী-মহারথী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতিতেও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। আর এ জালিয়াতিতে টাকার পরিমাণটাও চোখ ছানাবড়া করার মতো। ১২ লাখ ডলার যা প্রায় ১১ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
অভিযোগটি আনা হয়েছে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫ নম্বরে থাকা ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাবেক ফুটবল কোচসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে।
একটি বিশেষ চক্র কাজ করে এই ভর্তি জালিয়াতির প্রক্রিয়ায়। তারা দুইভাবে জালিয়াতি করে। প্রথমত, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে। দ্বিতীয়ত, খেলোয়াড় কোটার জন্য জাল সনদ তৈরি করে। চক্রটির জালিয়াতি কর্মকান্ডের লক্ষ্য ছিল আইভি লিগ, সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, স্ট্যানফোর্ড এবং জর্জটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর এসবের হোতা রিক সিঙ্গার নামের এক ব্যক্তি।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, সাবেক নারী ফুটবল কোচ রুডি মেরেডিথ দুজন শিক্ষার্থীর জাল খেলোয়াড়ের সনদ দেন। এদের একজন ভর্তির অনুমতি না পেলেও অন্যজন ভর্তির সুযোগ পান। তবে ইয়েল ওই শিক্ষার্থীর নাম প্রকাশ করেনি।


কোর্টের এক নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শিক্ষার্থীর পরিবার ভর্তি জালিয়াতির জন্য ২০১৭ সালে চক্রের প্রধান হোতা রিক সিঙ্গারকে ১২ লাখ ডলার দেয়। পরে রিক অর্থের অংশ কোচ রুডি মেরেডিথকে পৌঁছে দেন। রুডি শিক্ষার্থীর পোর্টফলিও যাচাই না করেই তাদের সনদ দিয়ে দেন।
নথিতে জানা যায়, ২০১৮ সালে ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর রুডি রিকের থেকে ৪ লাখ ডলারের চেক পান। ২০১৫ সালে থেকে রিক আর রুডির এক মিলিত অপকর্ম চলছিল। রুডি গত বছর ভর্তির বিনিময়ে সাড়ে ৪ লাখ ডলার দাবি করেছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। চলতি সপ্তাহেই তাকে আদালতের মুখোমুখি হতে হবে।
তবে জালিয়াতির অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এ মাসের শুরুতে এক শিক্ষার্থীর মা ভর্তিপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৩৩ জন মাতা-পিতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এর মধ্যে এক জোড়া মার্কিন তারকাও ছিলেন। তাদের একজন এই জালিয়াতির অভিযোগে চাকরিও হারান। বার্তা সংস্থার খবর