বান্দরবান দেশের ‘সম্প্রীতির অঞ্চল’ বলে পরিচিত

63

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ১২টি ভাষাভাষী জাতি গোষ্ঠীর বসবাস। এই বান্দরবানে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে না বলেই আজ পার্বত্য জেলা বান্দরবান দেশের সব জায়গায় ‘সম্প্রীতির অঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষি ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এনেছেন। তাই আমাদের বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বান্দরবানে তিন দিনব্যাপি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাজপুণ্যাহ খাজনা আদায় উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবছর প্রজাদের কাছ থেকে জুমের বাৎসরিক খাজনা আদায় অনুষ্ঠান হিসেবে রাজ পূণ্যাহ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এই বছর আসন্ন উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন সময়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের বিঘœ ঘটবে- এমন আশঙ্কায় মেলাতে সার্কাস, পুতুল নাচ পণ্য প্রদর্শনীর স্টলের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। জেলার ৭ টি উপজেলার ৯৫ টি মৌজা এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাজস্থলী দু’টি উপজেলার ১৪টি মৌজাসহ মোট ১০৯টি মৌজার হেডম্যান, কারবারী, রোয়াজারা রাজাকে জুমের বাৎসরিক খাজনা ও উপঢৌকন তুলে দেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা বোমাং রাজার বাসভবন (রাজবাড়ি) থেকে শুরু হয়ে পুরাতন রাজার মাঠের মূল অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। পরে মূল আলোচনা সভা শেষে খাজনা আদায় উৎসব শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এসময় বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ ১৭তম রাজা উচপ্রæ, কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিনুর এমরান, জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদারসহ আগত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৭৬ সাল থেকে বান্দরবানে এই রাজপূণ্যাহ (ঐতিহ্যবাহী রাজস্ব খাজনা আদায় উৎসব) হয়ে আসছে এবং ১০৯টি মৌজার জুম খাজনা আদায়ের এই মহোৎসবটি রাজপূণ্যাহ নামে পরিচিতি লাভ করে।