ফটিকছড়ির আজিম নগরে গায়েবী ধন কেবলার ওরশ সম্পন্ন

70

ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক সাধক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ গোলামুর রহমান (ক.) মাইজভান্ডারীর (প্রকাশ বাবা ভান্ডারী) প্রথম কন্যা শাহজাদী সৈয়দা মায়মুনা খাতুন’র প্রথম পুত্র শাহ্সূফী সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম(প্রকাশ-গায়েবী ধন কেবলা কাবা) এর ৩২তম বার্ষিক ওরশ গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি ফটিকছড়ির আজিমনগর ভান্ডার শরীফের গায়েবী ধন মঞ্জিলে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ব উম্মার সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন আালহাজ্ব মাওলানা শাহুসূফী সৈয়দ আবুল মনছুর আল্ মাইজভান্ডারী। এর আগে গায়েবী ধন কেবলা কাবার জীবনীর উপর আলোচনার সভাপতির বক্তব্যে শাহুসূফী সৈয়দ আবুল মনছুর আল্ মাইজভান্ডারী বলেন, স্বদেশী ঘরানার এখানকার মাটি ও মানুষের উপযোগী ত্বরীক্বা ও দর্শনের নামই হচ্ছে মাইজভান্ডারী ত্বরীক্বা। গণকল্যাণ, সর্বজীবের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ সুধা বিলানো এবং অসা¤প্রদায়িক মানবতাবাদই মাইজভান্ডারী ত্বরীক্বা ও দর্শনের মূলকথা।
তিনি বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে সা¤প্রদায়িক সংঘাত ও হানাহানিতে বিশ্ব থেকে শান্তি উধাও হয়ে গেছে। বিভিন্ন দেশে সহিংসতা ও নৃশংসতায় নিরীহ মানুষের জান মালের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘসহ বিশ্ব সংস্থাগুলো সহিংসতার কবল থেকে নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে বাঁচাতে চুড়ান্তভাবে ব্যর্থ। ফিলিস্তিনে রক্ত ঝরছে। ইয়েমেনে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধে রক্তের প্লাবন বয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর হায়েনাদের জঘন্য নৃশংসতার সাক্ষী আজ বিশ্ববাসী। এই নৃশংসতা ও বর্বরতার রাশ টেনে ধরতে হলে ইসলামের শান্তি ও মানবতাবাদের শিক্ষাকে সর্বোত্বভাবে অনুসরণ করতে হবে। ওলী বুজুর্গদের চর্চিত শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতাবাদের আদর্শে স্বস্তিময় মানবিক বিশ্ব গড়ার আহবান জানান তিনি। আলোচনা অংশ নেন, দরবারে শাহাজাদা সৈয়দ আরফাতুর রহমান(মিন্টু), শাহাজাদা সৈয়দ ইরফানুর রহমান(মিজান)। এছাড়া ওরশে আগত ভক্তরা গায়েবী ধন মঞ্জিলে সাজ্জাদনশীন শাহুসূফী সৈয়দ আবুল মনছুর আল্ মাইজভান্ডারী সাথে দীর্ঘ লাইন ধরে সাক্ষাত করে দোয়া কামনা করতে দেখা যায়। বার্ষিক ওরশ সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় গায়েবী ধন কেবলার এক মাত্র কন্যা শাহজাদী সৈয়দা মিনার আক্তার সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।