প্রসঙ্গ : আস্তিক ও নাস্তিক

206

এক আল্লাহ্তে যাদের বিশ্বাসবোধ আছে তারাই হচ্ছেন আস্তিক। আল্লাহ্র একত্ববাদে যাদের বিশ্বাসবোধ নেই তারাই নাস্তিক। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপকতার কারণে নাস্তিকরা তাদের মতাদর্শকে প্রচার করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সোজা কথা আমি এক আল্লাহ্তে অবিচল আস্তাবাদী এবং ইসলাম ধর্মানুসারি হিসেবে নিজেকে প্রশ্বকরি আমি কে ? ডযড় র ধস ? কি এই বিশ্বলোক ডযধঃ ফড়বং ঃযব ঁহরাবৎংব সবধহ ? এর স্রষ্টা কে ? ডযড় রং ঃযব পৎবধঃড়ৎ ? এ বিশ্বলোক সৃষ্টির আধুনিক বৈজ্ঞানিক তত্ত¡ হচ্ছে মহাবিস্ফোরণ বা ইরম ইধহম তত্ত¡। ইরম ইধহম তত্ত¡ানুসারে ১৪০০ কোটি বছর পূর্বে অতি ঘন উত্তপ্ত অবস্থা থেকে প্রাচীনতম একটি বিন্দুর অতি শক্তিশালী বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল। বিস্ফোরণটি সংগঠিত হয়েছিলো মাইক্রোসেকেন্ডের ও কম সময়ের মধ্যে এবং ংরহমঁষধৎরঃু এমন একটি কম পয়েন্ট যেখানে ংঢ়ধপব ও ঃরসব থেমে যায়। ইরম ইধহম এর পূর্বে কোন স্থান, বস্তু বা কাল এর অস্তিত্ব ছিলোনা। এমন অবস্থায় বিজ্ঞান হতাশাগ্রস্থ হলে কোন মহাশক্তিশালী একক সত্তা স্রষ্টার উপস্থিতিকে সমস্যাস্থলে আনায়নের মধ্যে দিয়েই বিষয়টি ব্যাখ্যা করা সম্ভব। কল্পনায় যখনই কোন স্রষ্টা এসে দাঁড়ায় একটি অব্যাখ্যাত সত্যের মিমাংসার জন্য তখনই আরেকটা প্রশ্নের মুখোমুখি হয় মানুষ। বিজ্ঞানী ঔড়যহ এৎরননড়হ বলেন উড়বং ঃযধঃ সবধহ ঃযব ঁহরাবৎংব রং হড়ঃ ঃযব ৎবংঁষঃ ড়ভ পযধহপব ? ঐধাব ঈড়ংসড়ষড়মরংঃ ৎবফরংপড়াবৎবফ মড়ফ ? এর অর্থ হচ্ছে এ মহাবিশ্ব আকস্মিক দুর্ঘটনা কিংবা দৈবের ফল নয় কি ? সৃষ্টিতত্ত¡ বিশারদগণ কি স্রষ্টাকেই পুনরায় আবিষ্কার করলেন। আর একজন বিজ্ঞানী এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলেন ওঃ রং ঢ়ড়ংংরনষব ঃযধঃ ঃযব নবমরহরহম পধহ নব বীঢ়ষধরহবফ নু ধ ৎবফরংপড়াবৎু ড়ভ এড়ফ অর্থাৎ সৃষ্টি তত্তে¡র সঠিক ব্যাখ্যা কেবল আল্লাহ্র অস্তিত্ব মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই সম্ভব। মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে যদি মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয় তবে এর পূর্বে আল্লাহ্র অস্তিত্ব ছিলো এবং বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছেন খোদ আল্লাহ্।
আল্লাহর অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারাটাই বিজ্ঞানের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার। মহাবিস্ফোরণ পবিত্র কোরআন দ্বারা সমর্থিত যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভারসিটির ন্যাচারেল সাইন্সের প্রফেসর উৎ. ওৎারহম রিষষরধস শহড়নষড়পয বলেন, ও নবষরবাব রহ এড়ফ, নবপধঁংব ঃড় সব যরং ফরারহব ঊীরংঃবহপব রং ঃযব ড়হষু ষড়মরপধষ বীঢ়ষধহধঃরড়হ ভড়ৎ ঃযব ঃযরহমং ধং ঃযবু ধৎব আমি আল্লাহকে বিশ্বাস করি কারণ আমার কাছে সব কিছুর মূলে আল্লাহ্র পবিত্র যুক্তিসঙ্গত অস্তিত্ব এবং ব্যাখ্যা। ১৯৯৩ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল প্রাপ্ত লরেট মার্কিন জ্যোতিপদার্থ বিজ্ঞানী জোসেফ এইচ টেইলর বলেন, অ ংপরবহঃরভরপ ফরংপড়াবৎু রং ধষংড় ৎবষরমড়ঁং ফরংপড়াবৎু. ঞযবৎব রং হড় পড়হভষরপঃ নবঃবিবহ ঝপরবহপব ধহফ ৎবষরমরড়ঁং ফরংপড়াবৎু. ঙঁৎ শহড়ষিবফমব ড়ভ এড়ফ রং সধফব ষধৎমবৎ রিঃয বাবৎু ফরংপড়াবৎু বি সধৎব ধনড়ঁঃ ঃযব ড়িৎষফ.
বিজ্ঞানের আবিষ্কার ধর্মীয় আবিষ্কারও বটে। ধর্ম এবং বিজ্ঞানের মাঝে মূলত কোন দ্ব›দ্বনেই। আল্লাহ্র প্রতি আমাদের জ্ঞান আমাদের আবিষ্কার এবং বিশ্বকে আরো প্রসস্থ করেছে।
মহাবিশ্ব তথা সৌরজগৎ মহাকাশ, চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী, গাছপালা ইত্যাদি প্রকৃতির প্রতিটি জিনিস একটি অতি সু² সুশৃঙ্খল ও সমন্বয়পূর্ণ বিধান দ্বারা পরিচালিত। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব একটি উপরে থাকতো তবে গোটা পৃথিবী বরফে পরিণত হতো আর যদি একটু নিচে থাকতো তবে পৃথিবী জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যেতো। চাঁদ যদি খানিকটা উপরে উঠে যেতো গোটা বিশ্ব মরুভূমিতে পরিণত হতো আবার যদি চাঁদ কিছুটা নিচে নেমে আসে তবে পৃথিবী পানিতে তলিয়ে যেতো। বাতাসে যদি অক্সিজেন একটু কম বেশি হলে আমরা শ্বাস নিতে পারতাম না। অক্সিজেন না থাকলে পানি তৈরি হতো না। পানি তৈরি না হলে বৃষ্টি হতো না, বৃষ্টি না হলে মৃত মাটি সতেজ হতোনা, উদ্ভিদ জন্মাতোনা, খাদ্যশস্য উৎপন্ন হতো না। সুরা ইয়াসীনের ত্রয়োবিংশতম পারার ৩৬-৪০তম আয়াতে বলেন, তিনি জমিনের সবকিছু জোড়ায় জোগায় (বিপরীত ও পরিপূরক) সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ্র অস্তিত্ব ও ক্ষমতার আর এক নিদর্শন হচ্ছে রাত। তিনি বলেন আমি যখন দিনের আলো সরিয়ে নিই তখন সব অন্ধকারে ছেয়ে যায়। ৩৮-৪০ আয়াতে আল্লাহ বলেন সূর্য তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে ক্রমাগত পরিভ্রমণ করছে। চাঁদের জন্য ও নির্দিষ্ট কক্ষপথ। সূর্য্যরে পক্ষে সম্ভব নয় চাঁদের নাগাল পাওয়া আর না রাত কখনও হজম করতে পারবে দিনকে। মহাবিশ্বের সবকিছুই চলছে আমার নির্ধারিত নিয়মে। এসব বিজ্ঞানময় সত্যবাণী আসমানী কিতাবে সন্নিবেশিত আছে। আজ আমরা দিনক্ষণ মাস গণনা করছি। ১৪৫০ বছর আগে কোরআনে করিমে সুরা ইউনুসে ৫নং আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন। আমি সূর্যকে তৈরি করেছি বিচ্ছুরিত আলোর উৎসরুপে আর চাঁদকে করেছি জ্যোতির্ময় ( সে আলোর প্রতিফলন) আমি বাঁদের কক্ষপথ ও কলাকাল নির্দিষ্ট করেছি। যাতে আমরা বছর, দিন ও সময়ের হিসাবনির্ণয় করতে পারো। এ উক্তি অত্যন্ত সত্য এবং আল্লাহর অস্তিত্বের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
পৃথিবী নামক গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য এগ্রহের আকার তাপমাত্রা, আপেক্ষিক নৈকট্যতা, রাসায়নিক ব্যাক-আপ সবই প্রয়োজন। এগুলো ছাড়া এমন হাজারো শর্ত রয়েছে যা পূরণ করা না হলে প্রাণের অস্তিত্ব তৈরি হতো না। মহাবিশ্ব ও প্রাণ দুটোই কোন মহাপরিকল্পনার অংশ এবং এর পেছনে একজন সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নিয়ন্ত্রণকারী স্থপতি কেউ আছেন, যাঁর ইশারাতে লক্ষ কোটি শর্ত মেনে সৃষ্টি হয়েছে জাগতিক সবকিছু। মহাবিশ্ব খামোখা তৈরি হয়নি নিজের থেকেও তৈরি হয়নি। হযরত ইব্রাহীম আঃ এ বিশ্ব ব্রহ্মাÐের মধ্যে প্রথম চিন্তা করেছিলেন কে এ বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন তিনি রাতের আকাশের চাঁদকে স্রষ্টা কল্পনা করেন, সূর্যকে স্রষ্টা হিসেবে চিন্তা করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ান্তে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া বিষয় তাঁর চিন্তা ক্ষেত্রে প্রসারিত করে। সর্বশেষ তার চিন্তায় আসে, অদৃশ্য মহাশক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। তাঁর একক নির্দেশনায় বিশ্বের সব কিছুই পরিচালিত হচ্ছে এবং তিনিই আল্লাহ্।
সূরা বাকারার ১০৭নং আয়াতে বর্ণিত আছে, তুমি কি জানোনা, মহাকাশ ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহ্র আর আল্লাহ্ ছাড়া তোমাদের কোন রক্ষাকারী বা সাহায্যকারী নেই। এ মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ আছেন। ১৯৬৪ সালে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী ঈযধৎষবং ঐধৎফ ঞড়হিবং বলেন, ও ংঃৎড়হমষু নবষরবাব রহ ঃযব বীরংঃবহপব ড়ভ এড়ফ নধংবফ ড়হ রহংঃরঃঁঃরড়হ, ড়নংবৎাধঃরড়হং, ষড়মরপ, ধহফ ধষংড় ংপরবহঃরভরপ শহড়ষিবফমব বার্ট্রান্ড রাসেল একবার নিজের প্রশ্নের অবতারণা করে বলেন, ওভ বাবৎুঃযরহম সঁংঃ যধাব ধ পধঁংব, ঞযবহ এড়ফ সঁংঃ যধাব ধ পধঁংব. অর্থাৎ জিনিসের কারণ থাকে, তবে আল্লাহ্রও একটি কারণ আছে। এ বিশ্বজগৎ সৃষ্টি এবং সবকিছুর সৃষ্টি আল্লাহ্র কারণে। কারণ ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না। বাতাসের অস্তিত্বের কারণে গাছের পাতা নড়ে। কার্য ও কারণের মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক বিদ্যমানতাকে বলে কার্যকরণ রীতি। জগতের প্রত্যেকটি ঘটনা বা কার্যের একটি কারণ আছে। উক্ত কারণটি আবার অন্য একটি কারণের কার্য। এভাবে কার্যকারণ তত্তে¡র মূলে রয়েছে ১টি আদি ও সার্বভৌম কারণ। যে কারণের আর অন্য কোনো কারণ নেই। সে কারণটি হচ্ছেন আল্লাহ্। আল্লাহ্ই সবকারণের কারণ। আল্লাহ্ হচ্ছেন স্রষ্টা এবং সৃষ্টির কারণ। আল্লাহ আদি আল্লাহ চিরন্তন, আল্লাহ মহান এটাই কার্যকরণ তত্তে¡র মূল।
নাস্তিকদের প্রশ্ন আল্লাহকে ? আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে ? কার্যকারণ তত্তে¡র মূল আদিও সার্বভৌমত্ব। যে কারণের কোন কোন কারণ নেই।
নিউটন আল্লাহ্র সৃষ্টি রাজি নিয়ে গভীর গবেষণা করতেন, একবার একজন তাঁর কাছ থেকে সোলার সিস্টেম মাপার যন্ত্র দেখে বললো। এটা কত সুন্দর কে এটা তৈরি করেছে? নিউটন বললেন, কেন এটা নিজে নিজে তৈরি হয়েছে। লোকটি বললো তা আমি বিশ্বাস করিনা, নিউটন বললেন, এ বিশাল আকাশ ও তারকাপুঞ্জ একা একা তৈরি হয়েছে তা কেমন করে বিশ্বাস করবে ? আল্লাহ্ (সূরা তুর আয়াত ৩৫এ) বলেন তারা কি কোন স্রষ্টা ব্যতীত নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টি করেছেন। নাস্তিকরা সৃষ্টি মানে কিন্তু স্রষ্টা মানে না এটাই হচ্ছে তাদের ধ্যানধারণা।
মহান আল্লাহ্র অস্তিত্ব সম্পর্কে হিন্দুত্ববাদের ‘আল্লোপনিষদের একটি স্থানে দেখা যায়,
‘হোতারমিন্দ্রো হোতারমিন্দ্র মহাসুরিন্দ্রঃ
আলো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরম পূর্ণং ব্রহ্মাণ অল্লাম \
আল্লোহ, রসুরসহমদরকং বরস্য আল্লা অল্লাম।
আদল্লাবুকমে ককম আল্লাবুক নিখাতকম \ ৩
অর্থাৎ আল্লাহ সকলগুণের অধিকারী, তিনি পূর্ণ ও সর্বজ্ঞানী মোহাম্মদ আল্লাহর রসুল। আল্লাহ আলোকময়, তাক্ষয়, এক, চিরপরিপূর্ণ এবং স্বয়ম্ভু (সার্বভৌম)।
এ শ্লোকের মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়েছে। এখানে আল্লাহ্ই পূর্ণ এবং সর্বজ্ঞানের অধিকারী । মোহাম্মদ (স.) আল্লাহ্র রসুল। অর্থাৎ ইসলামধর্মে কালেমা তৈয়বাতে বলা হয় ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, মোহাম্মদ(স.) তাহার প্রেরিত রাসুল’। আমাদের ধর্মমতে আল্লাহ জ্যোতির্ময়। হিন্দুত্ববাদে আল্লাহ আলোকময়। কোরানে আছে, আল্লাহো নুরস্সামাওয়াতে আল্ আরদ’ অর্থাৎ আকাশ-পৃথিবীর সমস্তই আল্লাহর নূর হইতে সৃষ্টি। কোরআন নিয়ে লেখাপড়া শিক্ষা করে মুফতি মাসুদ, মাদ্রাসায় শিক্ষা দান করলো মসজিদে ১০টি বছর ইমামতি করে মুফতি মাসুদ নাস্তিক হয়ে আল্লাহ্র অস্তিত্বকে অস্বীকার করে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা চালাছে। আমার প্রিয় নবীকে হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। পবিত্র কোরানে এবং হাদিসে এর সত্যতা মিলেনি। নাস্তিক আসিফ বলেছে আল্লাহ্ কে? আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? আল্লাহ আকাশ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু স্রষ্টা। আল্লাহর নুর থেকে সব সৃষ্ট। বিজ্ঞান বলছে, কোন সুদূর অজ্ঞাতলোক হতে প্রতিনিয়ত একটা জ্যোতি এসে আমাদের এ বিশ্বে পড়ছে তাহার নাম ঈড়ংসরপ ৎধফরধঃরড়হ কোথা থেকে আসছে এ ৎধফরধঃরড়হ এটি কার জ্যোতি; বিজ্ঞান তা না জানলে ও ইসলাম তা জানে।
উনবিংশ শতকের সবটিশ বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক বলেন, ঘড়হব রিষষ ড়িৎশ রিঃযড়ঁঃ এড়ফ রঃ রং ঃযব ঢ়যরষড়ংড়ঢ়যরপধষ ংুংঃবস যিরপয ও যধাব ংববহ, কেউ স্রষ্টা ব্যতিত সৃষ্টি হয়নি। সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টাকে অনুভব করা যায়। শিল্পের মধ্যে শিল্পীর নির্দশন ফুটে ওঠে। কবিতা মানবো কিন্তু কবিকে মানবোনা তা কি করে হয়। মহাগ্রন্থ কোরআন অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষা এবং ছন্দবদ্ধতায় পরিপূর্ণ সত্যের জীবন পরিচালনা বাণী। আল্লাহ উঁচু মাপের কবি। তিনি এক অদ্বিতীয় অপ্রতিদ্ব›দ্বী সর্বজ্ঞানের অধিকারী। কেউ আজ অবধি পবিত্র কোরআনের মতো একটি আয়াত ও রচনা করতে পারেনি। ‘ইন্না আ্ তোইনা কাল কাউছার,
ফাচ্ছালে লে রাব্বিকা ওয়ানহার,
ইন্না সা-নিয়াকা হুয়াল আবতোয়ার,
এমন কাব্যময় এক গদ্যময়ীতার সংমিশ্রণ হচ্ছে ঐশী বাণী সর্বশেষ নির্ভুল কেতাব। আর নাস্তিক রা এর ওপর মাস্টারী করার এতো ধৃষ্টতা পেলো কোথা থেকে। যুক্তিতে এ প্রজ্ঞাতে আল্লাহর অস্তিত্ব সর্বব্যাপী। পবিত্র কোরআন অতিব গুরুত্বের সাথে হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর ঘটনা উপস্থাপন করেছেন। ইব্রাহীম (আ.) পাহাড় পর্বতকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে, সাগর মহাসাগরের জলরাশিকে আবদ্ধতায় দেখেছেন চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্ররাজিকে দেখেছেন নির্দিষ্ট সময়ান্তে হারিয়ে যেতে। দিন, রাতকে এবং রাত দিনকে অপসারিত করতে দেখে অসীম সীমাবন্ধতা লক্ষ করেছেন। তারপর সমস্ত শংকামুক্ত হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন, এবং এক বিশালত্বের সন্ধান পান। তিনিই একক সত্তা ও সার্বভৌম মহান আল্লাহ্ পাক। আল্লাহ্র অস্তিত্ব প্রমাণ করার চাইতে আল্লাহ্ নেই একথা প্রমাণ লক্ষ কোটিগুণ কঠিন।
আল্লাহ সত্য আর সত্য সত্যই। কেউ স্বীকার করলেও সত্য, না করলেও সত্য। আল্লাহ্পাক সপ্ত আকাশের উপর তাঁর আরশ ছেড়ে নেমে দুনিয়াতে আসতে হয়না। অনাদিকাল থেকে আল্লাহ্র অস্তিত্ব আছে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত থাকবে।

লেখক : কলামিস্ট