প্রশাসন একার পক্ষে হালদা রক্ষা সম্ভব নয়

30

সাবেক মুখ্য সচিব ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম বলেছেন, হালদা নদী শুধু দেশে নয়, এশিয়ার মধ্যে একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। এ নদী বিশ্বের অন্যান্য নদী থেকে সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম। হালদা নদীতে প্রতি বছর মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে কার্প জাতীয় মা-মাছ ডিম ছাড়ে। প্রাকৃতিকভাবে ডিম ছাড়ার এমন নজির আর কোথাও নেই বললেই চলে। তাই এ নদীকে সুরক্ষার করা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তবে শুধুমাত্র প্রশাসন একার পক্ষে এ নদী রক্ষা করা সম্ভব নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের নয়াহাট বাজার সংলগ্ন হালদা পাড়ে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হালদা রক্ষা কমিটি ও বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত ওই আলোচনা ও সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে হালদা নদীর সুরক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় সাবেক মুখ্য সচিব ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএেসএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনকেও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। তাছাড়া সাংবাদিক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিদ ও মোহাম্মদ আলী যথাক্রমে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় হালদা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে তাদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম, হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরওয়ার মোর্শেদ তালুকদার, ছাত্রনেতা তরিকুল কালাম তুহিন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম মুজিব, মৎস্যজীবী ও ডিম আহরণকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কামাল সওদাগর ও রোসাঙ্গির আলম।