পিতাকে মূর্খ-অন্ধ দেখিয়ে সম্পত্তি হাতিয়ে নিল ৩ পুত্র

66

জন্মদাতা পিতাকে মূর্খ-অন্ধ দেখিয়ে জাল টিপসই দিয়ে সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে আপন তিন পুত্র। এমন অভিযোগে চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা জজ ৩য় আদালতে পুত্রদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পিতা গুরা মিয়া। এমন অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর এলাকায়। কৌশলে পিতার সম্পতি হাতিয়ে নেওয়ার পরও পিতার ঠাঁই হলোনা ওই তিন পুত্রে বসতঘরে। পুত্রদের এমন প্রতারণায় বর্তমানে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই পিতা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের দুলা মিয়া সারাং প্রকাশ গিয়াস চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র গুরা মিয়ার তিন পুত্র প্রবাসী মো. আজম, মো. মাহাবুব ও হাফেজ জাহেদ কৌশলে নিজেদের পিতাকে মুর্খ-অন্ধ দেখিয়ে দলিলে জাল টিপসই দিয়ে ১৭ শতক জায়গা রেজি. দানপত্র এবং দ্রুত সময়ে নামজারি করে নেয়। এরমধ্যে ২০১৫ সালে পিতাকে পুত্ররা তাদের বসতঘর থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে কিছুদিন আগে বিষয়টি পিতা জানতে পেরে আদালতে তা বাতিলের মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পিতা গুরা মিয়া বলেন, ‘তিন পুত্র আমার সাথে প্রতারণা করে সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। আমি কোন দানপত্র করিনি। দানপত্রের টিপসই আমার নয়, আমি কখনও টিপসই ব্যবহার করিনি। কারণ আমি স্বাক্ষর করতে জানি। ব্যাংকে আমার একাউন্ট আছে। আমি স্বাক্ষর দিয়েই টাকা লেনদেন করি। আমি আদালতের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আমার তিন পুত্র তথা এ তিন প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
প্রতারণার ঘটনাটি জানতে পেরে ও মামলার কাগজপত্র দেখে এ ব্যাপারে হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) সম্রাট খীসা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিজ পুত্ররা এমন করতে পারে বিশ্বাসই হচ্ছে না। ওনি হেবানামা ঘোষণা পত্রের আদালতে যে মামলা দায়ের করেছেন তার রায় নিতে পারলে রায়ে সব খতিয়ান নিয়ম অনুযায়ী বাতিল বলে গণ্য হবে। ওনার জায়গা উনি ফিরে পাবেন। এক্ষেত্রে ওই ভুক্তভোগী পিতা গুরা মিয়ার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।’