পবিত্র শবে মিরাজ পালিত

95

তাৎপর্যপূর্ণ রজনী পবিত্র শবে মেরাজ বা মেরাজ রজনী যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্যরে মধ্যদিয়ে পালন করেছেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল বুধবার (২৬ রজব) দিবাগত রাত ছিল পবিত্র মেরাজ রজনি। চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদসহ নগরী, উপজেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন মসজিদ, খানকা, দরবার এবং মাজারে যথাযোগ্য মর্যাদায় ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র এই মেরাজ রজনী পালন করেন। এই মহান রাতের কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল রাতভর ওয়াজ, কুরআন তেলাওয়াত-জিকির-আজকার, নফল এবাদত বন্দেগী, মিলাদ এবং দোয়া মোনাজাত।
২৬ রজব আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় রাসূল (সা.) স্বশরীরে পবিত্র কাবা শরীফ থেকে পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাস, সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে রূহানি জগতের আরশে মো’য়াল্লায় মহান আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করে আবার রাতেই জমিনে তাশরীফ আনেন। বিশিষ্ট ৪৫ জন ছাহাবায়ে কেরাম (রা.) মেরাজের বর্ণনা করেছেন। পবিত্র কুরআনের একাধিক আয়াতে মেরাজের ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে। মেরাজের মাধ্যমে রাসূল (সা.) এর শ্রেষ্ঠত্ব এবং আল্লাহ তা’আলার সাথে তার নিগূঢ় সম্পর্কের রহস্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়। তাই মেরাজকে বিশ্বাস করা এবং উপলব্ধি করা মুসলমানদের জন্য ফরজ। ২৬ রজব দিবাগত রাতে রাসূল (সা.) স্বশরীরে মেরাজ অর্থাৎ মহান আল্লাহ তা’আলার সাক্ষাৎ লাভ করেন। এ মহান রাতে আল্লাহ তা’আলা রাসূল (সা.) কে দীদারদানে ধন্য করেন। যার কারণে উম্মতি মোহাম্মদির কাছে মেরাজুন্নবী (সা.) রজনী অতিশয় সম্মানিত ও মূল্যবান। কারণ দয়ালু নবীজীর মেরাজুন্নবী (সা.) এর বদৌলতে উম্মতে মোহাম্মদি মরতবা অন্যান্য নবীগণের সম্মান অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি লাভ করেছে। হাদীস শরীফে আছে আস্সালাতু মেরা’জুল মো’মেনিন অর্থাৎ নামাজ হলো মুমিন নর-নারীর মেরাজ স্বরূপ।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজার, দরগাহ, খানেকায়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দিনটির তাৎপর্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। এবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রাতযাপন করা মুসল্লিরা বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া ও করুণা কামনা করেন।