নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করবিনের

27

আশাবাদের ইশতেহার দিয়েছিলেন তিনি। সামনে এনেছিলেন সামাজিক ন্যয়বিচার আর সুযোগের সাম্যের কথা। গুতিকয় ধনীর বদলে ব্রিটেনকে তিনি জনকল্যাণের পথে নিতে চেয়েছিলেন। তবে বুথ ফেরত জরিপ আর এ পর্যন্ত ঘোষিত ফল বলছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটিশ তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা রায় দিয়েছে দ্রুত ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের পক্ষে। আর তাই, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। নিজ আসনে আসনে জয়ের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনও নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন না তিনি।
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এ পর্যন্ত ঘোষিত ফলে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ২২৯ আসন। করবিনের লেবার পেয়েছে ১৮৫টি আসন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ভোটগ্রহণ শেষে প্রায় ২০ হাজার বুথ ফেরত ভোটারের মতামতের ওপর জরিপ প্রকাশ করেছে বিবিসি আইটিভি ও স্কাই নিউজ।
ওই জরিপে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ৩৬৮টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। আর বিরোধী দল লেবার পার্টি পেতে যাচ্ছে ১৯১টি আসন। এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাট (লিবডেম) পার্টি পাচ্ছে ১৩টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি) ৫৫টি, প্লেইড সিমরু ৩টি, গ্রিন ১টি, ব্রেক্সিট পার্টি শুন্যটি আর অন্যরা সবমিলে ১৯টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। নর্থ আইলিংটনে করবিন বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।
৩৬ হাজার ৬০৪টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টির প্রার্থী পেয়েছেন ৮ হাজার ৪১৫টি ভোট। তবে করবিন জিতলেও লেবার পার্টির প্রত্যাশিত ফল পায়নি। এরপর থেকেই করবিনের পদত্যাগ চাইতে শুরু করেন লেবার পার্টির নেতাদের একাংশ। তবে দলের চেয়ারম্যান অবশ্য এই ফলের জন্য করবিনকে দায়ী করতে নারাজ। তিনি দুষছেন লেবার নীতিকে। তার মতে, বিশেষ করে ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার নীতির বিপক্ষে রায় দিয়েছে যুক্তরাজ্যবাসী। তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয় গণভোট চেয়েছি। কিন্তু প্রথম গণভোটেই ১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আমরা সেটাকে সম্মান করতে পারিনি। ফলে আমাদের এই পরিণতি হয়েছে।’