নিস্তব্ধ কক্সবাজার শহর

113

পর্যটন শহর কক্সবাজার একেবারেই ফাঁকা। শহরের রাস্তাঘাট, বিপণীবিতান, বিনোদনকেন্দ্র, সমুদ্র সৈকত, কোথাও কোন লোকজন নেই। এ যেন এক অচেনা শহর। যে শহরটিতে সবসময় দেশি-বিদেশি পর্যটকে ঠাসা থাকতো, সে শহরটি এখন একবারে নিস্তব্ধ।
করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সারাদেশে ১০ দিনের সাধারণ ছুটি চলাকালে গত শুক্রবারও লোকজনের হাটাচলা লক্ষ্য করা গেছে। কিছু রিক্শা, টমটম চলেছে। তবে গত শুক্রবার সকাল থেকে পুরো শহর মানুষ শূন্য দেখা গেছে। লোকজন ঘর থেকে বের হয়নি। জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদেও মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল কম। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কগুলো ছিল যানবাহন শূন্য ও ফাঁকা। অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশের ঘোষণা মতোই কোন গাড়ি সড়কে বের হচ্ছে না বলে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শহরে সেনা সদস্যদের টহল চলছে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে সক্রিয়। জীবাণুনাশক পানি ছিটানোসহ মানুষকে ঘরে থাকতে নানাভাবে উৎসাহিত করতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন তারা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, শহরে ও বিভিন্ন উপজেলায় জীবাণুনাশক তরল ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে বৈশ্বিক মহামারী ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এগিয়ে আসার জন্যও তিনি সকলের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে তৎপর রয়েছে। তারা মানুষ উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালান। তাদের আহবানে সাড়া দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার পৌর প্রশাসনকেও তৎপর দেখা গেছে। পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৌরসভার কাউন্সিলররা স্ব স্ব এলাকায় লিফলেট, মাস্ক, জীবাণুনাশক স্প্রে বিতরণসহ মানুষকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করেন।
কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক, হলিডে মোড়, বিমানবন্দর সড়ক, কলাতলী সড়ক, হোটেল মোটেল জোন, রুমালিয়ার ছড়া, বিজিবি ক্যাম্প ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালায় জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন, সেনা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।