নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অভিযোগ করছে বিএনপি

60

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি একের পর এক অভিযোগ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচনে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর কোনো কর্মী আহত না হলেও আহত হয়েছে বলে প্রচার করছে। তারা আমাদের মন্ত্রী, এমপি, মেয়র নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে। অথচ বোয়ালখালীর বিএনপি সমর্থিত পৌরসভার মেয়র আচরণবিধি অমান্য করে প্রতিদিন প্রচারণা করছেন’। গতকাল সোমবার চিটাগাং ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন বলেন, কালুরঘাটে আরেকটি সেতুর কাজ শুরু হয়েছে। একনেকে যাওয়ার পর কিছু ভুলত্রূটির জন্য আটকে আছে। আমি নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু দৃশ্যমান হবে। বোয়ালখালীতে আরো অনেক কাজ বাকি আছে। কালুরঘাট সেতু আমাদের বড় যন্ত্রণা। আমি এই এলাকার সন্তান। আমার মতো আরেকজন প্রার্থীর কোনো দুঃখ বেদনা নেই। অন্য কোনো প্রার্থী জয়ী হলে কালুরঘাট সেতু করা সম্ভব হবে না।
উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বোয়ালখালীর করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, জ্যৈষ্ঠপুরায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। বোয়ালখালী পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণি করা হবে। নদীর পাড়ে বিনোদন কেন্দ্র করা হবে। মোহরা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশের নাগরিক সুবিধা বাড়ানো হবে। সেখানে আধুনিক কসাইখানা করা হবে। নগরীর স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচিত হলে চসিক ও ওয়াসাকে সবধরনের সহায়তা করবো। অবহেলিত ওযার্ডে যে সুযোগ সুবিধা বাড়ানো দরকার সবই করবো। পুরো এলাকা মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখবো।
রাজনীতিতে অবদানের কথা তুলে ধরে বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য এ নির্বাচন চ্যালেঞ্জের। আমি নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক কর্মিদের সম্মান বাড়বে। আমি কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করি নাই। মূলধারার বিরুদ্ধে যাইনি। সরকারের কোনো পদ গ্রহণ করি নাই।
বাবু ভাই ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল সাংঘর্ষিক। তবুও দুইজনের মধ্যে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য কাজ করেছি। যে কারণে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সব নির্বাচনে সর্বাত্মক ভূমিকা রেখেছেন বাবু ভাই।
আবেগাপ্লুত হয়ে মোছলেম উদ্দিন বলেন, আমি নামকরা পরিবারের সন্তান নই। সাধারণ পরিবারের সন্তান। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি। আমি চাইলে সরকারি চাকরি কিংবা বড় ব্যবসায়ী হতে পারতাম। আমার বাবা ব্যবসায়ী ছিলেন। পাঁচটি বাড়ি দিয়ে যান বাবা। কিন্তু সবকিছু ফেলে রাজনীতি করেছি। বোয়ালখালীর অন্যান্য দলও আমার পাশে আছে। চট্টগ্রাম শহরের লোকও আমাকে চিনে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক কাছাকাছি। জীবন সায়াহ্নে এসে নির্বাচন করছি। সেখানেও হতাশ হচ্ছি। আগুন সন্ত্রাসে জড়িতদের সাথে মিলে কিছু কিছু পত্রিকায় নিউজ হচ্ছে। আমি দুঃখ বেদনা শেয়ার করতেই এখানে এসেছি। নৌকার বিজয়ে আপনাদের ভূমিকা ও সহযোগিতা চাই।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, কলিম সরোয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাছান ফেরদৌস, প্রবীণ সাংবাদিক এম. নাসিরুল হক চৌধুরী, ফারুক ইকবাল প্রমুখ।