নাইক্ষ্যংছড়িতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ

25

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটি, নিম্মমানের ইটসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে চলছে এলজিইডির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণ কাজ। ইতোপূর্বে সম্পাদিত সড়কের পাশের ড্রেনগুলোও ফেটে গেছে বিভিন্ন স্থানে। পার্বত্যমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের কাজে ঠিকাদারের সেচ্ছাচারী কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে, ঠিকাদার দাবী করছেন কাজে কোন অনিয়ম, দুর্নীতি হচ্ছেনা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে সোনাইছড়ি হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে সড়কের ৮০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকী কাজও চলমান। জেলার সোনাইছড়িতে থেকে ঘুমধুম যাওয়ার সড়কে বৈদ্যছড়া-বড়ইতলী কাজটি চলমান রয়েছে।
নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে দেখা গেছে, সড়কের পাশে নিম্মমানের ইট মজুদ করে রাখা হয়েছে। বালির পরিবর্তে আনা হচ্ছে পাহাড়ী লাল মাটি। রাস্তার পাশে মজুদ রাখা বালিগুলোও কাদা-ময়লাযুক্ত। এছাড়াও সড়কের পাশে ইউ ড্রেন, এল ড্রেনগুলোর বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল ধরেছে আবার অনেক স্থানে পানি যাওয়ার এল ড্রেন সামান্য মাটির উপর ঢালাই করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে প্রায় পৌনে ২কোটি টাকা বরাদ্দে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বৈদ্যছড়া থেকে বড়ইতলী লাকড়ীছড়া বাজার পর্যন্ত সড়কে ২টি ব্রিজসহ ১কি: মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ পায় বান্দরবানের আবছার কন্সট্রাকশন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে ঠিকাদার ব্যপক দুর্নীতি আশ্রয় নিচ্ছে সড়ক নির্মাণে। সড়কটিতে বালির পরিবর্তে জামিরতলী বৌদ্ধ বিহার পাহাড়ের মাটি এনে রাস্তায় রোলার ছাড়া বিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ আবছার কন্সট্রাকশন প্রতিষ্ঠানটি যেখানে কাজ করেন অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এই জন্য পার্বত্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার নুরুল আবছার জানান, কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হচ্ছেনা। ড্রেন ফাটল দেখা দিলেও অসমাপ্ত কাজ ইঞ্জিনিয়ার অফিস বুঝে নিবেনা। তবে পাহাড়ের মাটি নয় জমিনের মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা নাইক্ষংছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, কাজ চলমান আছে। এ পর্যন্ত ৯০ ভাগ কাজ সম্পাদন হয়েছে। তবে কাজে ১০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ২নং ইট ব্যবহার করা যায় বলে দাবী করেন তিনি।