নদী শুকিয়ে যাওয়ার কারণ পাথর উত্তোলন

48

বান্দরবানে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য নদী রক্ষা সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের যৌথ আয়োজনে হিলভিউ কনভেনশান হলে এই পার্বত্য নদী রক্ষা সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মনিরুজ্জামান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা আব্দুল্লাহ খান, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের মেজর মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলী হোসেন, বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, জেলার সভাপতি অলক দাশ, সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা ও নদী গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দিন দিন আমাদের দেশের বিভিন্ন নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন নদী। নদী দখলের ফলে নদীর পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর নদী তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে।
বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য এলাকার নদী রক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বান্দরবানের অন্যতম নদী সাংগু নদীর রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বান্দরবানে নদী শুকিয়ে যাবার অন্যতম কারণ নদী থেকে পাথর উত্তোলন। নদী থেকে পাথর উত্তোলন করার ফলে নদীগুলো আজ পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বান্দরবানের প্রায় ৪শত ঝিড়ি ঝর্ণা নষ্ট হয়ে গেছে শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের ফলে। নদী জীবিত থাকলেই আমাদের নিশ^াস থাকবে আর নদীর মৃত্যু হলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য।
সম্মিলনের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার পার্বত্য অঞ্চলের নদী রক্ষা, নদ-নদী জলাশয়ের সমস্যা, সমাধান, উন্নয়ন ও সংরক্ষণসহ নদ-নদী সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।