দেশের স্বাধীনতা ও জিয়ার অবদান একসূত্রে গাঁথা

48

মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিভিন্ন কর্মসূচি গৃহীত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ বিকেল ৩টায় নগরীর ২নং গেটস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ বিকেল ৩টায় নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হবে, ২৫ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস এবং শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমান সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শহীদ জিয়ার অগ্রণী ভূমিকা এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানকে স্বীকার না করা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমানের অবদান একসূত্রে গাঁথা। বর্তমান সরকার আজকে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করতে চায়। যার স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জ্বীবিত হয়ে এদেশের মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাকে এদেশের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
সভায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতার চার দশক পর বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে পথ চলছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। জাতীয় জীবনে এই সংকটময় মুহূর্তে শহীদ জিয়া এবং জিয়া পরিবারের উপর বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতনের জবাব দিতে মহানগর বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে হবে। সভা থেকে তিনি মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের কর্মসূচি সফল করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করার আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম ষোলশহর বাজারের ঘাঁটিতে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাতৃভূমিকে শক্রমুক্ত করার জন্য দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতার বার্তা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন মেজর জিয়া।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এমএ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কি, মো. ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. শামসুল হক, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ- শিহাব উদ্দিন মুবিন, নুরুল আক্তার, মো. আলী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়–য়া, আব্দুল বাতেন, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. সেকান্দর, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদকবৃন্দ রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, আব্দুল আজিজ, আবু মুছা, আব্দুল হাই, সালাউদ্দিন লাতু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, জাহিদ হাসান, আব্দুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সদস্য মনজুরুল কাদের মিন্টু, মো. ইলিয়াছ, শাহেদা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, নগর তাঁতীদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এসএম মফিজ উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল ছগির, মনজুর আলম মনজু, মো. বেলাল, ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, এসএম আবুল কালাম আবু, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, মোস্তাক আহমদ, ফিরোজ খান, মো. জাহেদ, মো. হাসান, মো. আবু ফয়েজ, নগর যুবদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আসাদুর রহমান টিপু, মো. সালাহ উদ্দিন, রাজন খান, মো. নওশাদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি