দরিদ্র দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য না পাঠাতে সম্মত উন্নত দেশগুলো

90

বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশ দরিদ্র দেশে নবায়নের অযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য না পাঠানোর বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো রফতানিকারক দেশকে এখন বিষাক্ত, মিশ্র বা অনবায়নযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য কোনও দরিদ্র দেশে পাঠাতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি নিয়ে পাঠাতে হবে। কিন্তু এই সমঝোতার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলো নিম্ন মানের প্লাস্টিক বর্জ্য বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠাতে পারত সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমতি ছাড়াই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের নবায়নযোগ্য প্লাস্টিক বর্জ্য গ্রহণে চীন অসম্মতি জানানোর পর অ্যাক্টিভিস্টরা জানান, উন্নয়নশীল দেশগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যের পাহাড় জমা হচ্ছে। দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইনসিনের্যাটর অলন্টারনেভিটসের উদ্যোগে এই সমঝোতা স্বাক্ষতির হয়েছে। এই সংস্থাটি জানায়, তাদের অনুসন্ধানে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার গ্রামগুলোতে বর্জ্য জমা হচ্ছে।
সংস্থাটির নারী মুখপাত্র ক্লেয়ার আরকিন বলেন, আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্রের বর্জ্য এসব দেশের গ্রামগুলোতে বর্জ্যের পাহাড় গড়ে তুলছে। অথচ একসময় এসব ভূমি ছিল কৃষক সম্প্রদায়ের। জাতিসংঘ আয়োজিত এক কনভেনশনে দুই সপ্তাহের আলোচনা শেষে এই সমঝোতা হয়েছে। প্লাস্টিক বর্জ্য, বিষাক্ত ও রাসায়নিক বর্জ্যে পৃথিবীর সাগর ও প্রাণিকূল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এই কনভেনশন আয়োজন করা হয়েছে। নতুন সমঝোতা বাসেল কনভেনশনের সংশোধিত রূপ। যুক্তরাষ্ট্র বাসেল কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ না এবং তাদের কোনও ভোটাধিকার নেই। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিতরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছে।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির কর্মকর্তা রল্ফ পায়েত ১৮৭ দেশের সম্মতিতে জেনেভায় স্বাক্ষরিত সমঝোতাকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ এর ফলে রফতানিকারক দেশগুলোকে নজর রাখতে হবে সীমানা পেরিয়ে কোথায় যাচ্ছে তাদের বর্জ্য। তিনি জানান, ১১ দিনের এই আলোচনায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই উপস্থিতি তাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল।