ডেঙ্গু নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি ফখরুলের

22

এখন ‘অন্য রাজনীতি’ বাদ দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কয়েকজন রোগীকে দেখতে গিয়ে এই দাবি জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপে প্রতিটি পরিবার এখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আছে। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে, বাচ্চাদের নিয়ে। আমি এখন দেখে আসলাম, তারা অনেকেই বেশ সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। আমার মনে হয়, সরকারের উচিৎ হবে আর কালবিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে এবং আমাদের যারা চিকিৎসক আছেন তাদের সকলের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করা’।
সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে এই কাজের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কিছুটা যুদ্ধকালীন অবস্থার মতো করা দরকার। কারণ এখন সময় খুব কম’। কালক্ষেপণ না করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে কয়েকজন ডেঙ্গু রোগীকে দেখলাম। সারা দেশেই এটা ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা বিশেষজ্ঞদের কাছে শুনতে পারছি এটা কনটিনিউ করবে। এই কারণে একটা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে এর মোকাবেলা করা দরকার সম্মিলিতভাবেই। আমরা মনে করি, এখন অন্য রাজনীতি না করে দ্রæত মানুষকে বাঁচানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক’। খবর বিডিনিউজের
ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এইডিস মশা নিধনে ব্যর্থতার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে হাই কোর্টের ভর্ৎসনা প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে, বাংলাদেশ কিন্তু এখন সরকার চালায় না। মানে প্রশাসন কিংবা বিমান মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ চালাচ্ছে না। বাংলাদেশ চালাচ্ছে এখন বিচার বিভাগ। আদালতের হুকুম হয় তারপরে কথাবার্তা হয়, নড়াচড়া করে; অর্থাৎ ইনফ্যাক্ট গভর্নমেন্ট ইজ কমপ্লিটলি ফেইল্ড। অন্যান্য ক্ষেত্রে বটেই স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে’।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ল্যাবএইডে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারসহ কয়েকজন রোগীকে দেখতে গিয়ে চিকিৎসকদের কাছে তাদের সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ-খবর নেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, ড্যাবের অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, অধ্যাপক আবদুস সালাম, ডা. আবদুস সেলিম, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকিল, ডা. এটিএম ফরিদ, ডা. শাহ আমানউল্লাহ, ডা. এফরানুল হক সিদ্দিকী, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. আবু জাফর ও বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।