জেনারেল হাসপাতাল ব্যবহৃত পিপিই ডাস্টবিনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কা

48

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে নগরের জেনারেল হাসপাতালে। তবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় ডাক্তার-নার্সদের ব্যবহৃত পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) যথাযথভাবে পুড়িয়ে না ফেলে সড়কের পাশে ডাস্টবিনে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে শঙ্কায় আছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন বর্জ্য মেনে নিতে পারছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিএসআরএম’র প্রকৌশলী পিম্পল চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের এমন কর্মকান্ড কান্ডজ্ঞানহীন। সারা পৃথিবী যখন করোনা নিয়ে সতর্ক তখন আমাদের দেশে মেডিক্যাল বর্জ্য ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও। দ্রুত এসব বর্জ্য পরিষ্কারের দাবি জানান এ বেসরকারি কর্মকর্তা। খবর বাংলানিউজের
সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর দাবি পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ভয়ে এসব পরিস্কার করতে চাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের অনেকটা জোর করে কাজে এনেছি। তারা জেনারেল হাসপাতালের বর্জ্য পরিষ্কার করতে অনিচ্ছুক। তাছাড়া মেডিক্যালের বর্জ্য আনার জন্য সিটি করপোরেশনের সঙ্গে হাসপাতালের আলাদা চুক্তি রয়েছে। মেডিক্যাল বর্জ্য বহন করতে আলাদা শ্রমিক এবং গাড়ি রয়েছে। কিন্তু ব্যবহৃত পিপিই সাধারণ বর্জ্যরে জায়গায় ফেলায় ওই বর্জ্য আনতে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ভয় পাচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ঘটনাটি যে দিনের ছিল, সেদিন হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পিপিই ডাস্টবিনে রেখে তেলের জন্য গিয়েছিলেন। তাছাড়া ওই সময়ই আইসোলেশনে থাকা একজনের মৃত্যু হওয়াতে সেখানেও তাদের (পরিচ্ছন্ন কর্মী) কাজ করতে হয়। তাই পিপিই পুড়াতে দেরি হয়। এরই মধ্যে কেউ একজন ছবি তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন আছি। সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছি। আশা করবো সকলেই সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে দু’জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যারা বর্তমানে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া একই হাসপাতালে ৬ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।