জিয়ার কবর সরাতে বললেন মন্ত্রী মোজাম্মেল

50

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরসহ জাতীয় সংসদের মূল নকশার বাইরে যেসব স্থাপনা রয়েছে, তা অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল শনিবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ চত্বরে মূল নকশার বাইরে জিয়ার কবরসহ যেসব স্থাপনা হয়েছে। এখানে আরও কিছু কবর দেওয়া হয়েছে। সেগুলো অপসারণের অনুরোধ করছি।”
গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদের একাধিক বৈঠকে জাতীয় সংসদ চত্বর থেকে জিয়াউর রহমানের কবরসহ লুই আই কানের নকশা বহির্ভূত স্থাপনা সরানোর বিষয়ে কথা ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয় উদ্যোগী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুই কানের মূল নকশা সংগ্রহ করে। খবর বিডিনিউজের
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নকশা আনা হলেও গত আড়াই বছরে নকশা বহির্ভূত কোন স্থাপনা সরানোর কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সংসদের বাইরের কোনো স্থাপনা নিয়ে সংসদের কোনো চিন্তা নেই।
‘শোষিতদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু বাকশাল (বাংলদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) গঠন করেছিলেন’ উল্লেখ করে বাজেট আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলে, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়া ও তার তাবেদাররা সকলে মিলে যে অর্থনৈতিক কর্মসূচি- বাকশালকে গালিতে পরিণত করেছিল। বস্তুত বাকশালের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করা হয়নি। রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে জাতীয় দল গঠন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকেও তখন স্থগিত করা হয়েছিল। বাঙালির মুক্তি ও শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল বাংলার মানুষের মুক্তি আসতে পারে না। তা বিগত দিনে প্রমাণিত হয়েছে। আজকের প্রধানমন্ত্রী সেই অর্থনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।”
মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা তুলে ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের সময় দায়িত্ব পালন ও অভিজ্ঞতা ১০ থেকে ২০ মিনিট রেকর্ড করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলে আমরা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করব।”