জাতীয় পতাকার আদলে সেজেছে চন্দনাইশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো

163

জাতীয় পতাকা লাল-সবুজের আদলে নতুন সাজে সেজেছে চন্দনাইশ সদরস্থর দক্ষিণ পূর্ব জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উন্নয়ন ও মেরামতের জন্য। চন্দনাইশ সদরস্থ দক্ষিণ পূর্ব জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের পাশে হওয়ায় ভবনটি জাতীয় পতাকার আদলে রং করায় দৃষ্টি আকর্ষন হচ্ছে পথচারিদের। দৃষ্টি নন্দন এ ভবনটি দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে জাগরিত হচ্ছে দেশ প্রেম। একইভাবে চন্দনাইশের ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পতাকার আদলে লাল সবুজের রঙে সেজেছে। দক্ষিণ পূর্ব জোয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল চৌধুরী বলেছেন, লাল-সবুজ আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। তাই বিদ্যালয়টি সবুজ ও লাল রং করার ফলে ছোটো ছোটো কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্বাধীনতার পাশাপাশি দেশাত্মবোধের চেতনাবোধ জাগ্রত হবে। এই রং করায় শিক্ষার্থীরাও ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে আগ্রহ নিয়ে। রঙের কাজ সম্পন্ন করার অনেক পরে পরিপত্র জারি করা হয়েছে দেয়ালে রং করা নিয়ে। চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা হাছান আল মামুন বলেছেন, চন্দনাইশে ৩১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে। ইতিমধ্যে সব কয়টি বিদ্যালয় তাদের মেরামতের কাজ সম্পন্ন করেছে। নির্ধারিত রং কোড সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগে ১৫টি বিদ্যালয় জাতীয় পতাকার আদলে ভবনে রং করেছে। সারাদেশে শিক্ষার্থীদেরকে বিদ্যালয়মুখী করার জন্য অধিকাংশ বিদ্যালয় জাতীয় পতাকার আদলে রং করা হয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রনালয় থেকে রং কোড দিয়ে পরিপত্র দেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়গুলো রং কোড ব্যবহার করে ভবনে রং করে যাচ্ছে। জাতীয় চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত লাল-সবুজ। এতে করে কোমলমতি শিশুদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সরকারিভাবে যে সকল বিদ্যালয়ে মেরামতের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সে সকল বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫টি বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এটিই দেশের রোলমডেল। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। এই লাল-সবুজই আমাদের স্বাধীনতার চেতনাবোধকে জাগ্রত করে।