চন্দনাইশে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ

401

চন্দনাইশ ফতেনগর সিকদার বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে, ওসমানী সাম্রাজ্যের নান্দনিক ও অটোম্যান সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হচ্ছে ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি। মসজিদটি কবরস্থান, পুকুরসহ দুই একর জমির উপর অবস্থিত। ২০১৪ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে এর ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও মসজিদটির পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরো অনেক সময় লাগবে।
পশ্চিম পাশে পুকুরের পানি ঘেঁষে মিম্বর নির্মিত হওয়ায় পশ্চিম পাশ থেকে মসজিদটি দেখলে মনে হয়, যেন পানির উপর মসজিদটি ভেসে আছে। উপজেলায় ৩ শতাধিক মসজিদের মধ্যে এটিই সর্বাধিক ব্যয়বহুল মসজিদ। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী থেকে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে দৃষ্টিনন্দন, ব্যয়বহুল ২৬টি মসজিদ রয়েছে। একইভাবে গাছবাড়িয়া কলেজ গেট থেকে বরকল ব্রিজ পর্যন্ত শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের দু’পাশে ২৭টি মসজিদ থাকলেও সিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি সবার নজর কাড়ে কারুকার্য ও শিল্পীর তুলির পরশের কারণে।
ফতেনগর সিকদার বাড়ির প্রয়াত প্রতিথযশা আইনজীবী বদিউল আলমের একমাত্র ছেলে কংগোর অনারারি কন্সালটেন্ট জিয়া উদ্দিন আদিলের অর্থায়নে ৬ বছর ধরে এ মসজিদের নির্মাণশৈলীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলী সোহেল মো. শাকুর। কারুকার্য সম্বলিত প্রতিদিন এ দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখার জন্য শত শত দর্শনার্থী উপস্থিত হন।
সরকার প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। চন্দনাইশ উপজেলা সদর মসজিদটি সরকারিভাবে এই নিয়মে নির্মাণ করা হবে বলে জানা যায়। এতে মসজিদের পাশাপাশি থাকবে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সেখানে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক অজু, নামাজের ব্যবস্থা, লাইব্রেরি, গবেষণা, দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম, কোরআন তেলওয়াত, হেফজখানা, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মোয়াজ্জিনদের আবাসন ব্যবস্থা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসসহ সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক কথায় সরকারি মডেল মসজিদগুলি হবে পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিষ্ঠান, সেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে।