চন্দনাইশে এক রোহিঙ্গার ভোটার হওয়ার অভিযোগ

32

চন্দনাইশ উপজেলায় দোহাজারী পৌর এলাকায় এক রোহিঙ্গা নাগরিকের ভোটার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আলমগীর প্রকাশ বার্মা আলমগীর নামে ওই রোহিঙ্গা বিয়ে করে দীর্ঘদিন থেকে ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, আলমগীর একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। সে দোহাজারী এলাকায় বিয়ে করে শ্বশুর-শাশুড়িকে মা-বাবা সাজিয়ে ইতিমধ্যে ভোটার তালিকায় নাম উঠিয়েছেন। এছাড়া এলাকায় বিভিন্ন সময় নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সে সিরাজ ফকির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। কিছুদিন আগে মো. আক্তারের স্ত্রী সন্তানদের উপর হামলা চালিয়ে জখম করে। আলমগীরের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে যায় সে। প্রতিবাদ করলেই মামলা-হামলার ভয় দেখায় সে। এভাবে সে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স¤প্রতি বার্মা আলমগীরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারী ওবায়দুল আকবর মাসুম বলেন, আলামগীর একজন রোহিঙ্গা নাগরিক। কিন্তু প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সে এখন বাংলাদেশের নাগরিক হয়েছে। আলমগীর মূলত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার প্রভাবশালীদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও হয়রানি করা হয়। তাই আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি বার্মা আলমগীরের বিরুদ্ধে। এখন সে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয় দেখাচ্ছে।
তবে তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলমগীর। তিনি বলেন, আমি অনেকদিন থেকে বাংলাদেশে থাকি। এসেছি টেকনাফ থেকে। পটিয়া ছিলাম পাঁচ বছর। দোহাজারী বসবাস করছি ২৫ বছর ধরে। আমি এলাকায় ব্যবসা করে জীবনযাপন করি। কেউ যদি আমার সঙ্গে শত্রুতা করে সেই বিচার সৃষ্টিকর্তা করবে।
এ প্রসঙ্গে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেশব চক্রবর্তী বলেন, আমাদের কাছে হুমকি-ধমকি দেওয়ার বিষয়ে করা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আলমগীরকে ধরে থানায় নিয়ে এসেছিলাম। সে সন্ত্রাসী ও অন্যায় কার্যকলাপে জড়াবে না বলে অঙ্গীকার করেছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে মামলা হামলার ভয় দেখাবেন না বলেও থানা পুলিশের কাছে অঙ্গীকার করেছে আলমগীর।