চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আদালতের স্থিতাবস্থা

78

চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার একটি সম্পূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সাময়িক আশ্রিত বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির কতিপয় নেতা পরিচয়ধারী চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের ভুয়া মালিকানা দাবি করে বিহারের সম্পত্তি আত্মসাতের বিরুদ্ধে সহকারী জর্জ প্রথম সদর চট্টগ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারকার্য চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৭/০৯/২০২০ তারিখ অপর ৭০/১৯ মামলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন। তাছাড়াও হাইকোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও আইন অমান্য করে ২৮/১২/২০১২ তারিখ জোরপূর্বক নির্বাচন করায় উক্ত নির্বাচন অবৈধ বলে লিখিতভাবে ৬/০২/২০১৩ তারিখে সমাজসেবা অধিদপ্তর জেলা চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে লিখিতভাবে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নাম ব্যবহারকারীরা কৌশলে বিএস খতিয়ান জালিয়াতি করে অধ্যক্ষদ্বয়ের নাম বাদ দিয়ে সমিতির পক্ষে নাম বসিয়ে বিহার সম্পত্তি দখলের অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে। ২৯ ডিসেম্বর ১৯৮৫ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক নয়লক্ষ টাকা অনুদান দিয়ে সাত শতক জমি চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য প্রদত্ত জমি রেজিস্ট্রি দলিলে বিহারের পক্ষে অধ্যক্ষের নাম না দিয়ে কৌশলে আশ্রিত বৌদ্ধ সমিতির সভাপতির নাম অন্তর্ভ‚ক্ত করে সরকারের সাথে জালিয়াতি ও প্রতারণা করেছে। কথিত বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির অবৈধ মহাসচিব সুদীপ বড়ুয়া নাম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সিডিএ থেকে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের প্লান পাস করিয়ে আইনকে অমান্য করে জোর কাটিয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের নামে বিহার ধ্বংসের কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রতিনিধি হিসাবে ড. জিনবোধি ভিক্ষু এবং জনগণের পক্ষে সুশীল বড়ুয়া, বোধিপাল বড়ুয়া ও সঞ্জয় বড়ুয়া (বাবু) এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আলাদা আলাদা মামলা চট্টগ্রাম জেলা জর্জ আদালতে দায়ের করা হয়। বিজ্ঞপ্তি