চট্টগ্রাম বন্দরে ২৯ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং

42

চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গড়ে ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) হিসেবে ২৯ লাখ ১৯ হাজার ২৩টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। একইভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৮ লাখ ৮ হাজার ৫৫৪ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল। আগের বছরের তুলনায় এবছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাথমিক হিসাবে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার ছাড়াও খোলা পণ্যবাহী জাহাজ ও অয়েল ট্যাংকারে জ্বালানি ও ভোজ্যতেল আমদানি হয়। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের হিসাব সম্পন্ন হয়নি।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দরের এনসিটি টার্মিনালে ৬টি নতুন কি গ্যান্ট্রি ক্রেন বসানো, ইয়ার্ড স¤প্রসারণের মাধ্যমে কনটেইনার ধারণক্ষমতা উন্নীতকরণ, ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটি বাড়ানো, আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে গতবছরের তুলনায় এবছর ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। জুলাই-আগস্টে আরো নতুন চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হলে এবং সঠিক সময়ে পিসিটি অপারেশনে গেলে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে দীর্ঘমেয়াদে পায়রা, সোনাদিয়া সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়নের পাশাপাশি বে-টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এ বিষয়ে চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বন্দরে কি গ্যান্ট্রি ক্রেন ও বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে এ প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। আরো গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজন এবং নতুন করে জেটি নির্মাণ করা গেলে বন্দরের প্রবৃদ্ধি বহুগুণে বাড়বে। সেই সাথে পিসিটি চালু এবং বে-টার্মিনালের কাজ শুরু করা গেলে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৮ লেনে উন্নীত করা হলে, রেল ও নদীপথে ঢাকাগামী কনটেইনার পরিবহন বাড়ানো গেলে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনৈতিক চাপ সামাল দিতে পারবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ব্যবসা করছি এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ দক্ষতার সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। আরো বেশি প্রবৃদ্ধির জন্য বে-টার্মিনালের কাজ অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরে কন্টেইনার জট নিরসনে ভ‚মিকা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) কয়েকটি জেটিতে কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানো হয়। এর মধ্যে এনসিটি ও সিসিটিতে কি গ্যান্ট্রি ক্রেন দিয়ে গিয়ারলেস জাহাজের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ রয়েছে। জিসিবিতে জাহাজের নিজস্ব ক্রেন দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়।