চট্টগ্রামের ১৬ নেতার ঠাঁই

139

সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর ঘোষণা করা হলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। গতকাল সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন। চট্টগ্রামে বাড়ি এমন ১৬ জন নেতা কমিটিতে ঠাঁই পেলেও স্থানীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নেই তাদের। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীক রাজনীতিতেই সক্রিয় অধিকাংশ নেতা। কমিটিতে স্থান পাওয়া চট্টগ্রামের নেতারা হলেন সহ-সভাপতি পদে পটিয়ার তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, স›দ্বীপের মাহমুদুল হাসান তুষার, চন্দনাইশের মনজুর মোরশেদ অসীম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বহদ্দারহাটের মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহ-সম্পাদক পদে বাঁশখালীর দিদারুল আলম, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে বাঁশখালীর রিন্টু বড়–য়া, প্রচার সম্পাদক পদে ফটিকছড়ির এম এ আহাদ চৌধুরী রায়হান, উপ-বেসরকারি বিষয়ক সম্পাদক পদে পটিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, উপ-সম্পাদক পদে পটিয়ার শাহদাত হোসাইন আল মুরাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে চকরিয়ার তাজউদ্দিন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মহেশখালীর সাদুন মোস্তফা, ছাত্রী বৃত্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক মিরসরাইয়ের ফৌজিয়া ইসলাম তামান্না, উপ-সম্পাদক হাটহাজারীর তড়িৎ চৌধুরী, উপ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাতকানিয়ার শাহনেওয়াজ কবীর সানি, উপ-কর্মসূচি বিষয়ক সম্পাদক খাগড়াছড়ির শাহাদাত হোসেন, উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বান্দরবানের রবীন বাহাদুর।
এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের রাজনীতির সাথে সক্রিয় কোন নেতাকে ঠাঁই না দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। অনেকেই এ কমিটিকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বলেও অভিহিত করছেন। এক নেতা ফেসবুকে লিখেন, ‘ছাত্রলীগ করার প্রথম যোগ্যতা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে হবে’। আরেকজন লিখেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতি করলে যদি কেন্দ্রের নাগাল পাওয়া না যায় সে ছাত্রলীগ করে লাভ নাই’।