গৃহহীনদের ১৩৭৪ ঘরের ৪৬৮টি প্রস্তুত

24

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন এবং যার জমি আছে, ঘর নেই- এমন দুই ক্যাটাগরিতে ১৩৭৪ পরিবারকে ঘর তুলে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৬৮টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে প্রথমধাপে আটটি উপজেলায় ২৩৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করবেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম জাকারিয়া পূর্বদেশকে বলেন, ‘গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে দুইধাপে ১৩৭৪টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৩৭৪টি ঘরের মধ্যে ৪৬৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২৩ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৩৮টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করবেন। বাকিদের ধীরে ধীরে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।’
সূত্র জানায়, প্রথমধাপে হস্তান্তর করতে প্রস্তুতকৃত ঘরগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বাঁশখালীতে ২৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১০টি, পটিয়ায় ৬০টি, চন্দনাইশে পাঁচটি, সাতকানিয়ায় ২৫টি, লোহাগাড়ায় ১৮টি, ফটিকছড়িতে ৭০টি ও কর্ণফুলীতে ২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি জমিতে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।
ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রথমধাপে ৭০টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫৩০টি ঘর মিলিয়ে ফটিকছড়িতে ৬০০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এক লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব ঘরে দুটি কক্ষ, বাথরুম, রান্নাঘরসহ বিভিন্ন সেবা সুবিধা দেয়া হবে। ‘ক’ শ্রেণি ক্যাটাগরীতে একদম কোন জমি নেই পরিবারকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঘরগুলো দেয়া হচ্ছে।’
জানা যায়, ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিব শতবর্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য স্বপ্নের নীড় তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। স্বাধীনতার গত ৪৯ বছরে যাদের ছিল না কোন স্থায়ী ঠিকানা, একখন্ড জমি কিংবা নিজস্ব বাড়ি। তাদেরকেই দুই শতক জমির উপর ঘর করে দেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে প্রায় ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে এসব ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। বিনামূল্যে শুধু স্থায়ী ঠিকানা নয়, নির্মিত বাড়িগুলোও উন্নতমানের করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাবেন বাড়িসহ দুই শতক জমির মালিকানা। সেমিপাকা প্রতিটি বাড়িতে থাকছে দুইটি বেডরুম, একটি কিচেন রুম, একটি টয়লেট ও একটি বারান্দা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে এই আবাসন গড়ে তোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি এসব ঘর নির্মাণ কাজের তদারকি করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সঞ্জীব চক্রবর্ত্তী পূর্বদেশকে বলেন, দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না বলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। এরই আলোকে বিভিন্ন উপজেলায় গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।