খালেদা কারাগারে থাকলে কোনো ‘বর্ষ’ সফল হবে না বললেন ফখরুল

10

সরকারের মুজিব বর্ষ পালনের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো উৎসব সফল হবে না।
দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ড নিয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া দুই বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। সরকার তার জামিনে মুক্তি আটকে রেখেছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এটা পুরোপুরি আদালতের বিষয়।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ১৭ মার্চ শুরু হবে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন। খবর বিডিনিউজের
গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন এবং ১৯৭১ সালেও যিনি স্বাধীনতার
জন্যেই কারাগারে ছিলেন পাকিস্তান বাহিনীর হাতে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য তিনি এখনও জেলে আছেন। তাকে কারাগারে আটক রেখে কোনো বর্ষই এখানে সফল হবে না।”
মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগদানের বিষয়ে ইসলামী দলগুলো বিরোধিতা করলেও সে পথে হাঁটছে না বিএনপি। সাংবাদিকদেনর প্রশ্নে ফখরুল বলেন, “ভারতের এনআরসি-এসএসির পরে এরই মধ্যে যে দাঙ্গা হয়ে গেল, তার যে প্রভাব এখানে পড়েছে। সেই প্রভাবে উনার (মোদী) এখানে আসাটা কতটুকু সমীচীন-শোভনীয়, এটা তারাই বিচার করবেন।”
নির্বাচন কমিশন ও সরকারের উপর অনাস্থা প্রকাশের পর বিএনপি বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিলেও ‘সিরিয়াস’ নয় বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য নাকচ করেছেন ফখরুল।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ তো কত কথাই বলবে। জনগণের সমর্থন ছাড়া, ম্যান্ডেটবিহীন অবস্থায় শুধু অস্ত্র দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বলে আছে। স্বাভাবিকভাবে তারা এই ধরনের কথা-বার্তা বলবে, যাতে করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে কি না? কিন্তু সেটাতে তারা সক্ষম হয়নি। গণতান্ত্রিক যে রীতি রয়েছে যে নির্বাচনের মধ্যদিয়েই ক্ষমতার পরিবর্তন, আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি বলেই এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে অত্যন্ত সিরিয়াস। আমরা প্রত্যেকটি নির্বাচনে দেখেছেন যে, আমরা সিরিয়াসলি অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছি। সুতরাং তাদের যে যুক্তি, সেই যুক্তি কোনোদিনই গ্রহণযোগ্য নয়।”
ঢাকা-১০ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলমকে নিয়ে শনিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী এসময় উপস্থিত ছিলেন।