লোহাগাড়ায় পদুয়া হাসপাতাল সংলগ্ন নুরুল কবির কলোনিতে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এবং বিভিন্ন কোম্পানির লেভেল জালিয়াতি করে পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার লোহাগাড়ার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদ্মাসন সিংহ এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কারখানা মালিক মো. ইকবালকে আটক করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৮ মাসের সাজা প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায়, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের মীর পাড়ার মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মো. ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে পদুয়াস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নুরুল কবির কলোনিতে একটি রুম ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন কোম্পানির লেভেল ও সিল ব্যবহার করে ভেজাল পণ্য তৈরির কারখানা স্থাপন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তৈরিকৃত এসব ভেজাল পণ্যগুলো হলো স্কয়ার কোম্পানির রাধুনীকে নকল করে রাধুনী সরিষার তৈল, আচার, চানাচুর ও শিশুদের জন্য ছোট ছোট প্যাকেটে রাখা পাইপ জুস। অভিযানে উৎপাদনের জন্য রাখা কেমিক্যাল জব্দ করা হয় এবং জব্দকৃত নকল পণ্য সামগ্রী আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) পদ্মাসন সিংহ বলেন, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, পদুয়ায় একটি কলোনিতে রুম ভাড়া নিয়ে ইকবাল নামে এক ব্যক্তি নকল ও ভেজাল জুসের কারখানা গড়ে তুলেছে। সে দীর্ঘদিন ধরে এসব নকল ও ভেজাল জুস তৈরি করে নামিদামি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লেভেল সাঁটিয়ে বাজারের বিভিন্ন কনফেকশনারি, মনিহারি ও মুদি দোকানে তা বিক্রি করে আসছিল। এসব উৎপাদিত জুসে কোন খাদ্য উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে না। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন কেমিক্যাল এবং কাপড়ের রং মিশিয়ে এসব জুস বানিয়ে তা বোতলজাত করে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে কারখানাটি সিলগালা করে দিই।
এদিকে, একইদিন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরের দরবেশ হাট রোডের ফোরকান টাওয়ারে আল মারওয়া স্টোরকে অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে ১০ হাজার টাকা ও মক্কা টাওয়ারের শাহপীর স্টোরকে একই অপরাধে ১০ হাজার টাকাসহ দুটি দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনার সময় লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল সিকদার ও বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স এবং সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।