রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে আওয়ামী লীগের ২ কর্মী খুনের ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জোড়া খুনের মামলায় এজহারভুক্ত ২ আসামিকে আটক করে যৌথবাহিনী।
পরে আটক খ্যোইসাথোই মারমা ওরফে মোস্তফা (৫২) ও তপন তালুকদার (৩৩) কে চন্দ্রঘোনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে একেই ঘটনায় আরো ৬ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলেন, থুইসিং মারমা (৪০), মংছাপ্রু মারমা (৫৩), তেজন্দ্র তঞ্চঙ্গা (৩৬), উথোয়াইনু মারমা (৪৮), চাছিং মং মারমা (২৫) ও থাওয়াই মং মারমা (২৪)। গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিহত খ্যোইসাথোই মারমার শ্বশুর আপ্রু মারমা চন্দ্রঘোনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ১০ থেকে ১৫ জনের নাম অজ্ঞাত রাখা হয়। তবে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের বেশির ভাগ লোকই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএসের বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন জেএসএস রাঙামাটি জেলা কমিটি।
গতকাল শুক্রবার বিকালে এই ৬ আসামিকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ আহম্মদের আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই ভাবে অপর ২ আসামিকেও বৃহস্পতিবার বিকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উদ্দিন বলেন, ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খোসাথুই মারমা ওরফে মোস্তফা (৫১) ও তপন তালুকদার (৩১) কে আটক করে যৌথবাহিনী। পরে আরো ৬ জনকে শুক্রবার আটক করে তারা। আটক ৮ জনকেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এই মামলার আইও এবং চন্দ্রঘোনা থানার ওসি (তদন্ত) শফিউল আজম মুঠোফোনে বলেন, গত ২ দিনে এই মামলার সন্দেহ ভাজন আসামি হিসেবে যৌথবাহিনী আটজনকে আটক করে চন্দ্রঘোনা থানায় সোপর্দ করেছেন। মামলার মোট আসামি ২১জন এবং অজ্ঞাতনামা আছেন আরো ১০ থেকে ১৫ জন। তবে সবাই আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের লোক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীর কারিগড় পাড়ার একটি চায়ের দোকানে চা-নাস্তা খাওয়ার সময় মোটরসাইকেল যোগে এসে সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ার করে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আওয়ামী লীগ সদস্য মংসানু মারমা (৪৫) ও জাহেদ (২৮)। আওয়ামী লীগ এ ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএসকে দায়ী করেছে।