কর্ণফুলীতে ট্যাক্সিচালক ও ব্যবসায়ীদের মারধর করলেন পুলিশ কর্মকর্তা

69

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সিএনজি চালিত ট্যাক্সি গায়ে লাগায় চালক ও ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করেছে এক পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় কর্ণফুলী থানাধিন বোর্ড বাজার এলাকায়।
পরে ঘটনার প্রতিবাদে ট্যাক্সি চালকরা কর্ণফুলী উপজেলায় সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখেন। পরে দুপুরে ১ টায় কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ ব্যবসায়ী ও সিএনজি ট্যাক্সি চালকদের নিয়ে বৈঠক করেন। এতে দায়ী পুলিশ অফিসার কায়সারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস এবং আহত চালককে চিকিৎসা খরচ দেয়ার পর আবারও সিএনজি ট্যাক্সি চলাচল শুরু হয়।
কর্ণফুলী সিএনজি চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জানান, সিএনজি ট্যাক্সি চালক মোহাম্মদ জাফর ব্রিজঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে গোয়ালপাড়ায় যাচ্ছিলেন। রাস্তা ভাঙা থাকায় বোর্ড বাজার এলাকায় ট্যাক্সিটি পুলিশ অফিসার ফজলে রাব্বি কায়সারের গায়ে লাগে। এরপর চালক তার কাছে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য পায়ে ধরে ক্ষমা চান। কিন্তু এতেও তার রক্ষা হয়নি। তাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা রাস্তার উপর পেটাতে থাকেন। ঘটনা দেখে বোর্ড বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৫-৬ জন ব্যবসায়ী সিএনজি চালককে ছাড়াতে গেলে তাদেরও পেটায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনার পর ব্যবসায়ী ও সিএনজি চালকরা কর্ণফুলীতে সিএনজি ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করে দেন।
সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কর্ণফুলী উপজেলার প্রধান যানবাহন সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। পরে দুপুরে কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি কায়সারকে অপসারণের। এছাড়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিএনজি চালককে চিকিৎসা খরচ প্রদান ও ঘটনার জন্য পুলিশ দুঃখ প্রকাশ করলে সিএনজি চালক ও ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নেন। দুপুর দেড় টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ জানান, ঘটনার পর সিএনজি চালক ও ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানালে তিনি বিষয়টি সুরাহা করতে বৈঠক করেন। সেখানে চালককে চিকিৎসার জন্য খরচ দেয়া হয়। এছাড়া দায়ী পুলিশ অফিসারকে কর্ণফুলী থানা থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর সিএনজি চালক ও ব্যবসায়ীরা ফিরে গেলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়।