ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল কক্সবাজারে

99

বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখো পর্যটকের ভিড় জমেছে। সাগরের নীল জলরাশির সাথে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে পর্যটকরা। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি পড়লেও তা আগত পর্যটকদের উচ্ছ¡াস কমাতে পারেনি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছে লাখো পর্যটক। বৈরী আবহাওয়া আর থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘদিন প্রচন্ড গরম থাকার পর এই বৃষ্টিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পর্যটকরা। বরং এ বৃষ্টিতে আবার অনেকে বাড়তি আনন্দ পাচ্ছেন তারা। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কিশোরদের সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলায়
মেতে উঠেতে দেখা যায়। অনেকেই সঙ্গে করে ছাতা নিয়ে আসলেও তা আর মেলে ধরেননি। নব দম্পতির মাঝে এ বৃষ্টি যেন আর্শিবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। সমুদ্র সৈকতে বৃষ্টিতে ভেজার মূহুর্ত স্মৃতি হয়ে থাকবে অনেক বছর। নিষ্প্রাণ ও বেরসিক মানুষগুলোও যেন সমুদ্রের পাড়ে এসে বৃষ্টি নিয়ে রসিকতায় মেতে উঠেছে।
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, রামু বৌদ্ধ মন্দিরেও পর্যটকের ভিড় দেখা যায়।
এবার ঈদের ছুটি বেশি থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে দূরে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন কর্মজীবীরা। নগর জীবনের যান্ত্রিকতা থেকে দূরে নীল সাগরের সুনীল জলরাশিতে অবিরত ঢেউ এর মাঝে বাঁধভাঙ্গা আনন্দে মেতে উঠেছেন তারা। তাদের উল্লাসে যেন মুখরিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
রাঙামাটি থেকে কক্সবাজার সৈকতে ঘুরতে আসা কিশোর আবির জানান, ঈদের পরদিন আমরা সব বন্ধুরা একসাথে বেড়াতে এসেছি। এমনিতে সমুদ্রে গোসল করার মজাই আলাদা তার উপর বৃষ্টি এই আনন্দের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিন থেকেই আমাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সবাই আরো একদিন কক্সবাজার থাকবো বলে ঠিক করেছি।
পুলিশের সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মত এবারও কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড় জমেছে। ঈদের প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন পর্যটক ভিড় তিনগুণ বেড়ে যায়। বাড়তি পর্যটকের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।