ঈদগাঁহতে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ডিপোতে আগুন

14

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিং ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই গোডাউনে কর্মরত দুই শ্রমিক দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আহতদের প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ঈদগাঁহ কলেজ গেটস্থ মহাসড়ক সংলগ্ন ঘটনাস্থলে দিয়ে দেখা যায়, কামানের গোলার মত বিকট শব্দে আশপাশের বাড়িঘর থর থর করে কেঁপে উঠে এবং চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকিত লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে। একের পর এক গ্যাসসিলিন্ডার বিষ্ফোরণের বিকট শব্দ আর আগুনের লেলিহান শিখায় বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কে যান চলাচল। আধা ঘণ্টা পর রামু থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ডিপোটির ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ঈদগাঁহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল হালিম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ দুই সহোদর আবু তৈয়ব (প্রকাশ তৈয়ব চৌধুরী) ও আবু ছৈয়দ নিয়মনীতি, পরিবেশের তোয়াক্কা না করে অতিমুনাফার লোভে অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিং এবং ওই সিলিন্ডার বাজারজাতকরণের সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। বরাবরই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করে আসছে।
এই ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স কে দিয়েছে এমন প্রশ্নে ঈদগাঁহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম জানান, এমন ব্যবসার জন্য ঈদগাঁহ ইউপি থেকে কোন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, এদের বিষ্ফোরক সনদ ও পরিবেশ ছাড়পত্র কোনটাই নেই। দুর্ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি কোন ফায়ার এক্সটিনগুজার।