আম্পান এখন ‘গুরুত্বহীন’ লঘুচাপ

23

ঘূর্ণিঝড় আম্পান শক্তি হারিয়ে লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় সতর্ক সংকেতও নামিয়ে নিতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন গতকাল শুক্রবার জানান, বুধবার রাতে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল আম্পান স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। রাজশাহী অঞ্চলে অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও দুর্বল হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরে লঘুচাপে পরিণত হয়। সেটি এখন রাজশাহী-দিনাজপুর অঞ্চলে অবস্থান করছে এবং দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কোনো শঙ্কা নেই বলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে নিতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
তবে গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
দিনের তাপমাত্রাও এই সময় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুন্ডে ১১১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সুপার সাইক্লোন আম্পান শক্তি কিছুটা হারিয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে বুধবার দুপুরের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে। পরে রাতে এ ঝড় প্রবেশ করে বাংলাদেশে। ঝড়ের মধ্যে প্রবল বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন দেশের অর্ধেকের বেশি গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে এ পর্যন্ত আট জেলায় মোট ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যাদের বেশিরভাগই ঝড়ে গাছ বা ঘর চাপা পড়ে মারা গেছেন। খবর বিডিনিউজের