অবশেষে নজিবুল বশরকে সমর্থন দিলেন পেয়ারুল

83

অবশেষে মহাজোটের প্রার্থী ও তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে সমর্থন দেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। খবর বাংলানিউজের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সবার সিদ্ধান্তে মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।’
ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম,
মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। কিন্তু নৌকা প্রতীকে মহাজোটের মনোনয়ন পান তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ পাশ কাটিয়ে মাঠে রয়ে যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন তিনি।
১১ ডিসেম্বর নগরের নাসিরাবাদে পেয়ারুর বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি মুজিবুল হক ও সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের পক্ষে কাজ করার ঘোষণাও দেন।
পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ফটিকছড়ি আসনে সৃষ্ট সমস্যা নিরসণে দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে পাঠায়। উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে সমর্থ হন আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পেয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। দলের দুঃসময়ে কাজ করে গেছেন। সারাজীবন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন।’
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা চেয়েছিল তাই আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। বর্ধিত সভায় সবাই নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আমি নৌকা প্রতীককে সমর্থন দিয়েছি। সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।’