অনুপ্রবেশকারীর তালিকা আসেনি চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলায়

40

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কারা তা এখনো জানতে পারেননি দুই জেলার নেতারা। তাদের হাতে তালিক এসে পৌঁছায়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকার তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলায় গেলেও চট্টগ্রামের তালিকা এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকের হাতে রয়েছে বলে জানা গেছে। তালিকায় ক’জনের নাম রয়েছে বা কাদের নাম রয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী কঠোর গোপনীয়তার সাথে সারাদেশের একটি তালিকা তৈরি করান। এ তালিকায় ৫ হাজার বিতর্কিত-হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীর নাম আছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবরের শেষ দিকে বই আকারে প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তালিকাটি দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে তুলে দেয়া হয়। তারা সেটি জেলা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেন। দেশের অন্য এলাকাগুলোতে পাঠানো হলেও চট্টগ্রাম জেলায় এখনো পর্যন্ত তালিকা পাঠানো হয়নি।
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগে হাইব্রিড-অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের পদে ছিলেন এমন অনেকেও আওয়ামী লীগে স্থান করে নিয়েছেন। হঠাৎ করে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন এমন নেতার সংখ্যাও কম নয়। তারা বেশিরভাগই বিতর্কিত। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, লুটপাট সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন এদের অনেকেই। অনেকে কৌশলে পদ-পদবি ভাগিয়ে নিয়ে জনপ্রতিনিধিও হয়ে গেছেন। অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিডদের বেশিরভাগই অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন। তাদের দাপটে ‘আসল’রা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
হাইকমান্ড জানতে পেরেছে, তাদের কারণে দলের দুর্নাম হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই অপকর্মে জড়িত। তাই তাদের দল থেকে বের করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ এমএ সালাম বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত তালিকাটি হাতে পাইনি। দলীয় হাইকমান্ড থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে তালিকাটি দেয়া হলেও আমরা এখনো পাইনি। হাতে পেলে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তালিকাটি শিগগির হাতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিড রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত থেকে এসে আওয়ামী লীগের পদ-পদবি পর্যন্ত দখল করে নিয়েছেন। তারাই দলের নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আমরা জেনেছি অনেক আগেই কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে দেয়া হয়েছে। অন্য বিভাগের কাছে পৌঁছানো হলেও চট্টগ্রামে এখানো পৌঁছানো হয়নি। তিনি বলেন, আমরা বার বার যোগাযোগ করেছি কিন্তু দেয়া হয়নি। কারণ হিসেবে কিছু সমস্যা আছে বলে আমাদেরকে জানানো হয়েছে। তবে কি সমস্যা তা জানানো হয়নি।
সূত্র জানায়, তালিকায় নাম থাকা অনেক অনুপ্রবেশকারী উপর মহলে চেষ্টা-তদবির করে যাচ্ছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের তালিকাটি আরো যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করার পরই নেতাদের কাছে পাঠানো হবে।