সুইস ব্যাংকে রাখা অর্থের তথ্য বিনিময়ে আলোচনা

11

 

সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের বিষয়ে তথ্য আদান-প্রদানে সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে সে দেশের রাজধানী বার্ন ও ঢাকায় এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে তথ্য আদান-প্রদানসংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি এবং পারস্পরিক আইনি সহযোগিতা (এমএলএটি) চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের দূতাবাস বার্নে সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আর ঢাকায় গত রবিবার সুইজারল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছে।

তথ্য পেতে যা লাগবে : সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পেতে গেলে ওই অর্থ অসৎ উপায়ে অর্জিত হয়েছে-প্রাথমিকভাবে এমন প্রমাণ দিতে হবে। সুইস ব্যাংকগুলো ঢালাও কোনো তথ্য দেবে না। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম, যদি সম্ভব হয় ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং ওই অর্থ যে অসৎ উপায়ে অর্জিত হয়েছে, তার প্রাথমিক প্রমাণের তথ্য সুইজারল্যান্ডের কাছে দিতে হবে। দুই দেশের রাজনৈতিক পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে তথ্য পাওয়া সহজ, এমনটি ইঙ্গিত করে সূত্রগুলো বলছে, কারিগরি স্তরে অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হওয়ায় এই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। আবার সুইজারল্যান্ডের কাছ থেকে পাওয়া সব তথ্য ফাঁস করার ব্যাপারে কিছু আইনগত বাধা রয়েছে। এগমন্ট গ্রুপের নির্দিষ্ট কিছু ধারা রয়েছে, যার কারণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে তথ্য প্রচারে বাধা রয়েছে।