সিডিএ’র চাক্তাই-কালুরঘাট সড়ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা হ্রাস পাবে

85

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন নির্ভর, ‘চাক্তাই-কালুরঘাট সড়ক প্রকল্প’ একনেকে পাশ হয় ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল। এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর। দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার প্রতিবেদন হতে জানা যায়, ৮ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার সড়কসহ এ প্রকল্পে বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং ১২টি খালের মুখে রেগুলেটর ও পাম্প হাউস নির্মিত হচ্ছে। সাতটি সøুইসগেট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। তিনটি সøুইসগেট অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। দুটির কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি অর্থ বরাদ্দের ছাড় না হওয়ায় প্রকল্পটির কাজে সিডিএ গতি আনতে পারছিল না। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধামন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় ৩০০ কোটি টাকা সিডিএ ছাড় করতে পারায় প্রকল্পটির মধ্যে গতি আসবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর হতে চট্টগ্রামের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে মনোযোগী হন। স্বাধীনতার পর হতে উন্নয়ন বঞ্চিত চট্টগ্রামের দায়িত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করার কথা চট্টগ্রামের জনসভায় বলেছিলেন। তিনি ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। যা বর্তমানে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন, আনোয়ারায় চায়না অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিশুদ্ধ পানি সমস্যা সমাধানে চট্টগ্রাম ওয়াসার নানা প্রকল্প সম্প্রসারণ ও নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন, চাক্তাই-কালুরঘাট সড়ক প্রকল্পসহ বহু প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও বদান্যতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক সব ক’টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ সমগ্র বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠবে। চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হতে সরকার নিয়মিত রাজস্ব সমৃদ্ধ করে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের যে বিশাল অবদান রয়েছে সে তুলনায় চট্টগ্রামের আশানুরূপ উন্নয়ন বিগত সরকার সমূহের আমলে হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নেওয়ায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ তাঁর প্রতি চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সক্রিয় নির্দেশনায় চট্টগ্রামে বহু প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। যে সকল মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলো বাস্তবায়িত হলে সমগ্র দেশের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের চেহারাই পাল্টে যাবে। ফলে চট্টগ্রাম হয়ে উঠবে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী।
চাক্তাই-কালুরঘাট প্রকল্প চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে যেমন কাজ করবে তেমনি কর্ণফুলীর তীর ঘেঁষে এ প্রকল্প পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত হবে। মহানগরীর অভ্যন্তরে যানবাহনের চাপ অনেক কমে যাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে। সিডিএ কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির কাজ যতদ্রুত শেষ করতে পারবে ততদ্রুত জলাবদ্ধতা সমস্যা এবং নগরীর যানজট কমে যাবে। তাই প্রকল্পটির জন্য দ্রুত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করে মহানগরীর দুঃখ জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে সহায়তা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন আশাবাদ নগরবাসীসহ সমগ্র চট্টগ্রামবাসীর।