পতনের ধারা থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সোমবারও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। মূল্যসূচকে এই পতনের দিনে ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণেরও বেশি। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১১টির এবং দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির। মূল্যসূচক ও সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। টাকার অঙ্কে দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩০৫ কোটি ৩ লাখ টাকার। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৫৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে ওয়াইম্যাক্স এবং ৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এস্কয়ার নিট কম্পোজিট।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, পাওয়ার গ্রীড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্রামীণফোন, যমুনা ব্যাংক এবং মুন্নু সিরামিক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসসিএক্স ৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭২১ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। লেনদেন অংশ নেয়া ২২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ১৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।