শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে : ড. অনুপম সেন

2

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির হাজারী গলিস্থ ভবনে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের ওপর ‘বাজেট ডিসকাশন (২০২২-২০২৩)’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৭ জুন সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক অর্পিতা দত্তের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বাংলাদেশের বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বলেন, এই বাজেটের দু’টি অংশ আছে; একটি রাজস্ব বাজেট ও অন্যটি উন্নয়ন বাজেট। বাংলাদেশের পার্লামেন্টে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে।
এই বাজেটে দেশের নানা খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কম অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও বলা দরকার, যাঁরা এই অর্থ ব্যয় করার দায়িত্বে থাকেন তাঁরা এই অর্থই পূর্ণভাবে ব্যয় করতে পারেন না। অর্থ ফেরত যায়। এই বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা ও কৃষিখাতে ব্যয় বাড়াতে হবে, অন্যান্য অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় কমিয়ে।
ড. সেন বলেন, ১৪২ কোটি মানুষের দেশ চীন আজ বিশ্বের প্রধান ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব। কারণ চীন তাদের বাজেটে সবচেয়ে বরাদ্দ দেয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে। এ কারণে উন্নয়নে ভারতও চীন থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আজ চীনের জিডিপি ভারতের চেয়ে অনেক বেশি। সোভিয়েত ইউনিয়নও একসময় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিশাল বরাদ্দ দিয়েছিল। তাই তারা তাদের অর্থনীতিকে দ্রæত উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করে তার উন্নয়ন দেখে অবাক হয়েছিলেন। তিনি ‘রাশিয়ার চিঠি’-তে লিখেছেন, আমি শিক্ষার পুণ্যভূমিতে এসেছি।
ড. সেন কালো টাকা রোধ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে বছরের শুরুতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বিনামূল্যে বই বিতরণ ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। শিক্ষাখাতে এটা দেশরতœ শেখ হাসিনার বিশাল অবদান।
ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, মানবসম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার না করলে দেশ ও সমাজের টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। তিনি পদ্মাসেতু সম্পর্কে বলেন, পদ্মাসেতু জিডিপি ১.২% থেকে ২% পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাজেটের সবচেয়ে বড়ো অঙ্গ হলো শিক্ষা। তিনি তারুণ্যকে মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য শিক্ষাই মূলমন্ত্র বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরী ‘বাজেট ডিসকাশন (২০২২-২০২৩)’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি