ল্যাবে বিকশিত মস্তিষ্কে স্নায়বিক তরঙ্গ

41

প্রথমবারের মত ল্যাবে বিকশিত ছোট আকারের মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মাধ্যমে স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ চিহ্নিত করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্য দিয়ে নিউরোলজিক্যাল মডেল তৈরির পথ ছাড়াও অনেক মৌলিক প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
ছোট এই মস্তিষ্কটিতে চেতনা ছিল কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই উদ্ভাবন মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ বিষয়ক গবেষণার ক্ষেত্রকে এগিয়ে নেওয়ার পথ দেখাবে।
মস্তিস্কের উন্নয়নমূলক প্রক্রিয়া তথা ‘ব্রেইন অর্গানয়েডস’ নিয়ে প্রায় এক দশক ধরে গবেষণা চললেও এর আগে কখনো তাতে কার্যকরি নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী অ্যালিসন মউত্রি এএফপিকে বলেন, ‘‘আপনি যদি পাঁচ বছর আগে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, ব্রেইন অর্গানয়েডে কী এমন কোন জটিল নেটওয়ার্কের উপস্থিত আছে যা মস্তিষ্কে তরঙ্গ সৃষ্টি করতে সক্ষম- আমার উত্তর হতো; না।’’
সেল প্রেস জার্নালে গত বৃহস্পতিবার মউত্রি ও তার সহকর্মীদের প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্টেম সেলের যথাযথ বিকাশের কারণেই মস্তিষ্ক নিয়ে এই গবেষণাটির একটি অংশ সফল হয়েছে।
এর অন্য অংশটিও ছিল আশ্চর্যজনক। কারণ গবেষকরা চিন্তা করেছিলেন ঠিক যেমন গর্ভে অনাগত শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে তেমনই যেন নিউরনগুলোকে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বিকাশ করা যায়, বাস্তবেও তেমনটা করা সম্ভব হয়েছে।
অর্গানয়েড থেকে মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলো ফেটে যাওয়ার বিষয়টিকে গবেষক দলটি প্রায় দুমাস ধরে সনাক্ত করেন। তাঁরা দেখতে পান, সংকেতগুলো খুব পাতলা এবং একই ফ্রিকোয়েন্সির, যা কেবল খুব অপরিণত মানব মস্তিষ্কে দেখা যায়। তারা বলছেন, সংকেতগুলো ধারাবাহিকভাবে যতই বাড?তে থাকে, ততই তারা মস্তিষ্কে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার তরঙ্গ তৈরি করে এবং মস্তিষ্কের এ সংকেতগুলো আরো নিয়মিতভাবে নিজেদের উপস্থিত জানান দিয়ে নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোকে বিকাশের পথ দেখায়।