‘রাস্তার বেহাল দশায় অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ’

13

 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর সড়কে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে একই পরিবারের পিতা ও পুত্র। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আজ অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ। অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। একটি বাণিজ্যিক রাজধানীর রাস্তা এরকম মরণ ফাঁদ তৈরি হবে তা আমরা কখনো চিন্তাও করি নাই।
প্রতিদিন যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে আজ নগরবাসীকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিডিএ দুষছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দুষছে সিডিএকে। বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এভাবে বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে কেন পড়ে আছে নগরবাসী বোধগম্য নয়। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বেহাল দশা জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দায়ী। তিনি গত ১০ এপ্রিল ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, এই সরকারের সময় শ্রমিকরাই বেশি নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল একটি শক্তিশালী সংগঠন। অতীতে যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিক দলের ভূমিকা ছিল আগামীতে আপনাদেরকে সুসংগঠিত ভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক তারেক খান রাসেল এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দল নেতা শেখ নুর উল্লাহ বাহার, শ.ম জামাল, শামসুল আলম, শ্রমিক দল নেত্রী শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, বিএনপি নেতা এসএম ফরিদুল আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, শ্রমিকদল নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।