পটিয়া হাসপাতালের কেউ ফিরেও তাকায়নি!

0
পটিয়া হাসপাতালের  কেউ ফিরেও তাকায়নি!

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মানসিক ভারসাম্যহীন এক প্রসূতি নারীকে কয়েকদিন ধরে প্রসব বেদনায় কাতরাতে দেখা যায়। এরপরও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত কেউ তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অসহায় ওই নারীকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লা জেলার অধিবাসী সুমি (৩০) নামের মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় এক নারী কয়েকদিন ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন। স্থানীয়রা একাধিকবার অনুরোধ করার পরও অসহায় মহিলাটিকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে আসন সংকটের অজুহাত দেখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পটিয়া থানার ওসিকে জানান। ওসি বোরহান উদ্দীন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতেও কোন কাজ না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ওই নারীকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।
পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু মোহাম্মদ ইউসুফ ওয়াহিদ উল্লাহ জানান, মহিলাটি গর্ভবতী ও মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু আসন সংকটের কারণে তাকে ভর্তি করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী গাজী মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, কয়েকদিন ধরে অসহায় মহিলাটি প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। বিষয়টি পটিয়া মেডিকেলের চিকিৎসকদের জানালেও তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে থানার ওসিকে জানালে তিনি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আলাউদ্দীন জানান, পটিয়া থানার ওসির অনুরোধে অসহায় মহিলাটিকে চমেক হাসপাতালের ৩৩নং ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে। আমরা নিয়মিত তার চিকিসার খোঁজ খবর নিচ্ছি।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দীন জানান, গর্ভবর্তী এক অসহায় মহিলা প্রসব বেদনায় কাতর হওয়ার খবর শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে যায়। পরে উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালেও মেডিকেলে আসন নাই বলে জানায় তারা। শেষে আমি একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে চট্টগ্রাম শহরের চমেক হাসপাতালের নেওয়ার ব্যবস্থা করি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুইবছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা পটিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। অসহায় ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়েছে বলে ধারণা প্রশাসনের।