নাইক্ষ্যংছড়ির পান যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে

26

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পান এখন দেশ পেরিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। ফলে পান চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছে হাজারো কৃষক। সাপ্তাহিক হাট থেকে ব্যবসায়ীরা এসব পান সংগ্রহ করে থাকেন। উপজেলার পাহাড়ের ঢালুতে চাষিরা এসব পানের চাষ করে থাকেন। জানা যায়, বর্তমানে দেশে প্রচুর পরিমাণ পানের চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি এসব পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে পানের চারা বিক্রি করে চাষিরা লাখ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। বর্তমানে উপজেলায় দেশি ও মিষ্টি জাতের পান চাষ হচ্ছে। প্রচুর পরিমাণ মিষ্টি পান এক যুগ ধরে উপজেলার বাইশারী, দৌছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, সোনাইছড়ি, ও ঘুমধুম ইউনিয়নের সমতল ও পাহাড়ি ঢালুতে চাষ হচ্ছে।
তবে অধিকাংশ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, সরকারি রাজস্ব দেওয়ার পরও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। যার ফলে বাইরের ব্যবসায়ীরা এলাকায় আসতে চাই না। পথে পথে ইউনিয়ন পরিষদ ও অনেকে ট্যাক্স আদায় করে। তাই তারা হয়রানি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। পান চাষি হ্লামংছাইন মারমা বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং অতিবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া থেকে রক্ষা পেলে এবার পান চাষে অধিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত বাজারে পানের দাম অনেক চড়া রয়েছে। প্রতি বিরা পান দুইশ থেকে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এবার চাষ ভালো হওয়ায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বটন চৌধুরী বলেন, উপজেলায় যতগুলো পানের বরজ রয়েছে সবই নিজেদের উদ্যোগে করা। সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। কৃষি কর্মকর্তারাও তদারকি করে না। পান চাষিরা যদি সরকারি সহায়তা পায় তাহলে আরও ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। পান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে ৫০০ থেকে ৮০০ ছোট-বড় পানের বরজ থাকতে রয়েছে। এসব পানের বরজ থেকে হাটের দিন চাষিরা পান বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। বর্তমানে পান চাষ করে এলাকায় কয়েক হাজার লোক স্বাবলম্বী হয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনামুল হক বলেন, পান একটি বারোমাসি অর্থকরী ফসল। একটি পানের বরজ থেকে সারাবছর পান সংগ্রহ করা যায়।
আর একবার পানের বরজ তৈরি করলে তা থেকে ২০-২৫ বছর পান পাওয়া যায়। দিন দিন নাইক্ষ্যংছড়িতে পানের চাষ বাড়ছে। আশা করছি পানের আবাদ আরও বাড়বে। কৃষি বিভাগ পান চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে।