দুই মাসের মধ্যে গ্যাসসংযোগ না হলে আন্দোলন

22

কেজিডিসিএল ঠিকাদার গ্রাহক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে করোনা সচেতনতায় গণসংযোগ ও মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠান কেজিডিসিএল ঠিকাদার গ্রাহক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী নাওয়াজ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম অলিউল্লা হকের পরিচালনায় গত ২৩ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১ টায় ষোলশহর কেজিডিসিএল অফিস চত্ত¡রে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে আবাসিক সংযোগসহ বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেন না ২৫ হাজার গ্রাহক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত ও জামানতের কোটি কোটি টাকা পরিশোধ করেও হাজার হাজার গ্রাহক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগ বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের আবাসিক সংযোগ বন্ধ রেখেছে। এই কান্ডে কেজিডিসিএলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাজার হাজার গ্রাহক। বক্তব্য রাখেন মানিক হাওলাদার, প্রশান্ত বড়ুয়া, আবদুল মালেক শেখ, ফরমান উল্লাহ অপু, তানজিদ হাসান রবিন, শওকত হাসান হাওলাদার, সিবিএ সভাপতি মাকসুদুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আসলাম, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাবের খতীব, সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ও চট্টগ্রাম গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ শ্রমিন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে আলী নাওয়াজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেয়ার সম্মতি দেয়ার পরও কেন গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। যদি আগামী দুই মাসের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেয়া না হয় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে নতুন সংযোগের কথা বলতে চাই না। তবে কোটি কোটি টাকা গ্রাহকের পকেট থেকে নিয়ে কোন অধিকারে এই কেজিডিসিএলের এমডি বসে আছেন? তার জবাব দিতে হবে। কেজিডিসিএল ঠিকাদার গ্রাহক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক একেএম অলিউল্লা হক বলেন, ‘আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই কেজিডিসিএলের অনুমোদনক্রমে অর্থ জমা করেছি। গত পাঁচ বছর ধরে সংযোগ না পেয়ে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে; তার জন্য আমরা এই ষড়যন্ত্রকারী কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্যাস সংযোগ প্রদান না করলে এর সকল দায়-দায়িত্ব কেজিডিসিএলকেই বহন করতে হবে।’