লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দু’দলই হেরেছিল- মুক্তিযোদ্ধা ব্রাদার্সের কাছে আর কোয়ালিটি উদয়নের কাছে। করোনার কারণে অনেকদিন পর মাঠে ফিরে ছন্দ পাওয়া সহজ নয়- মানা গিয়েছিল। গতকাল ২য় ম্যাচে তো খেলার কিছুটা হলেও উন্নতি হওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখের কথা, দু’দলেরই পারফর্ম্যান্স ছিল হতাশাজনক। খেলোয়াড়দের শারীরিক অবয়ব না দেখলে মনে হতো যেন কিশোর ফুটবলাররা খেলছে। ডি বক্সের আশপাশ থেকে অনেকগুলো শট নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল খেলোয়াড়রা কিন্তু তারা মেরেছে ক্রস বার উঁচিয়ে অথবা সাইড বার এর বাইরে। গোলে শটই যদি নিতে না পারে তাহলে গোল হবে কিভাবে ? অবিম্বাস্য হলেও সত্য- কোয়ালিটির আফরোজ আলী মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষককে তাদের ডি বক্সে একা পেয়েও তার গায়ে মেরে দেন। অথচ গোলরক্ষককে ঠান্ডা মাথায় একটা ডজ দিয়ে সহজেই গোল পাওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। একই রকম কান্ড করেছে মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড়ও। পরিকল্পিত আক্রমণে কোয়ালিটির একজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি বক্সে ঢুকে বদলী ফাহিম উদ্দিন সোহেল মাটি কামড়ানো জোরালো শট নিলে তা সাইড বার ঘেঁষে বাইরে হলে যায়। অথচ ১:১ বল প্লেসিং করলে সহজেই গোল হওয়ার কথা।
তাছাড়া বল রিসিভিং, পাস, বল বাড়ানোও নিখুঁত দেখা যায়নি বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের। মানতেই কষ্ট হচ্ছিল এটি দেশের ২য় বৃহত্তম নগরীর প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল ম্যাচ। দায়সারার এ ফুটবল লিগ খেলে কি লাভ? অপরিকল্পিত ছোটাছুটি, ভুল পাসের ছড়াছড়ি আর লক্ষ্যভ্রষ্ট শটের ম্যাচে গোল না হওয়াটাই স্বাভাবিক, হয়েছেও তা। গোলশূণ্য ম্যাচের সুবাদে দু’দলই পেয়েছে এক পয়েন্ট করে যা এবারের লিগে তাদের একমাত্র অর্জন। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মুক্তিযোদ্ধার শাকের উল্লাহ্, তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।
আজকের খেলা: ব্রাদার্স ইউনিয়ন বনাম পুলিশ (৪টা)।
খেলার সময় পরিবর্তন: প্রথম থেকে এতদিন ম্যাচ বিকেল ৪টায় শুরু হলেও দিনের আলোর কথা ভেবে ম্যাচ স্টার্টিং টাইম পরিবর্তনের সিদাধান্ত নিয়েছে লিগ আয়োজক কমিটি। আগামীকাল থেকে ম্যাচ সাড়ে ৩টায় শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএফএ সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল।